সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, যেখানে পাকিস্তান-সৌদি আরব সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা হবে।
দুই নেতা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময়ও করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সফরের মাধ্যমে নানা খাতে সহযোগিতা চূড়ান্ত হতে পারে, যা উভয় দেশের দীর্ঘদিনের ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও গভীর করার যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফকাত আলী খান এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা অভিন্ন বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও পারস্পরিক আস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর দুই নেতার জন্য এই বিশেষ অংশীদারিত্বকে আরও সুসংহত করার পাশাপাশি জনগণের কল্যাণে নতুন সহযোগিতার পথ খুঁজে বের করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এই সপ্তাহে কাতারে জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সম্মেলনটি দোহায় হামাসের আলোচকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার পর আহ্বান করা হয়।
হামাস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দোহায় সংগঠনটির কম্পাউন্ডে ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শীর্ষ আলোচকের ছেলে ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন।
কর্মকর্তারা বৈঠককে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। এ সময় দুই নেতা ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রচেষ্টা ভণ্ডুল করার ইসরায়েলের সুপরিকল্পিত চেষ্টা।” তিনি এ হামলার নিন্দা জানান।
শেহবাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের “দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার ভূমিকা”র প্রশংসা করেন এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ (যেখানে পাকিস্তান বর্তমানে অস্থায়ী সদস্য) বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে, বিশেষ করে ওআইসিতে, পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সমর্থনের আশ্বাস দেন।
গত মাসে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের ২১তম বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিতে সৌদি আরব সফর করেছিলেন।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এমকে/এসএন