পিআর পদ্ধতি চালুসহ প্রায় অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশের প্রেক্ষাপটে পিআর ব্যবস্থা কার্যকরী না।’
নিলোফার মনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কাকে চায়? ধরুন একই এলাকায় তিনজন লোকের মধ্যে যাকে তারা পছন্দ করবে, যাকে মনে হবে কথা ও কাজের সমন্বয় আছে, সত্য কথা বলে এবং যার কাছে দাবি আদায় করা সহজ তাকেই ভোট দেবেন। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে যদি মনোনয়ন হয়, তাহলে দেখা যাবে সবচেয়ে অপছন্দের ব্যক্তিকেই হয়তো দল মনোনয়ন দিয়ে দিতে পারে।’
নিলোফার মনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে আন্দোলন। কিছু চাওয়া, কিছু পূরণ করায় আমি খারাপ কিছু দেখি না। কিন্তু যখন নির্বাচন দোরগোড়ায় তখন এই আন্দোলনগুলো কী পরিমাণে ফলপ্রসূ হবে, আমি জানি না।’
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘জামায়াত ও বিএনপির অবস্থান নিয়ে দেখা যাচ্ছে, জামায়াত পিআরসহ পাঁচ দফার দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে।
আমার মনে হয়, জামায়াত নির্বাচনে যাওয়ার জন্য অন্যদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছে। তারা আন্দোলন করে যতটুকু আদায় করা যায় করবে, না পারলে শেষপর্যায়ে নির্বাচনে যাবে।’
বিএনপি নেত্রী নিলোফার মনি বলেন, ‘জামায়াতের ইতিহাস থেকে দেখা যায় তারা একটি নির্বাচনমুখী দল। তারা সবার সঙ্গে নির্বাচন করে এবং যাদের সঙ্গে থাকে তাদের সমর্থন করে।
না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকমও হতে পারতো। ২০০৮ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তখন নির্বাচনে যেতে চায়নি, কিন্তু জামাত বাধ্য করেছে। ফলাফল কী? জামায়াত অনেক নেতাকে হারিয়েছে, অনুচিতভাবে তাদের বিচার হয়েছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাত ৩টার প্রেস কনফারেন্সে বললেন রাষ্ট্র আগের থেকে ভালো আছে। এমন দাবি থেকে বোঝা যায় আমরা কতটা অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি।
হত্যাকাণ্ড, মারধর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ প্রশাসনিক কোনো যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট।’
নিলোফার মনি বলেন, ‘যতক্ষণ অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে না, ততক্ষণ মানুষের মধ্যে ভয় থাকবে এবং সেই ভয় নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবে। মানুষ ভাববে, আমার ভোট সঠিকভাবে গ্রহণ হবে কি না, লেভেল-প্লেয়িং-ফিল্ড থাকবে কি না।’