৭ কলেজ ইস্যুতে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিকে ঘিরে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সাত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের বিরোধিতা করে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামলে, এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পূর্ণাঙ্গ অধ্যাদেশ জারির দাবি জানান। একই সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। স্লোগানে শোনা যায় “শিক্ষা না সিন্ডিকেট, শিক্ষা শিক্ষা”, “অধ্যাদেশ জারি করো, শিক্ষা সিন্ডিকেট মুক্ত করো”, “শিক্ষা নিয়ে টালবাহনা, চলবে না চলবে না”, “সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন” ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া যখন চূড়ান্তের পথে, তখন কিছু শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা চাকরিবিধি ভঙ্গ করে আন্দোলনে নেমেছেন।

তারা সরকারের পদক্ষেপ ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীরা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তোলেন।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলেই সরকার নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। অধ্যাদেশ জারি হলেই এটি স্বাধীন কাঠামো পাবে। অথচ শেষ মুহূর্তে কিছু কর্মকর্তা উসকানি দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা এই অপতৎপরতা প্রতিহত করবে।” তিনি দ্রুত অধ্যাদেশ জারি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।

এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিকে স্বতন্ত্র কাঠামোয় রূপান্তরের প্রতিবাদে ইউজিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আহ্বায়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, “অধিভুক্তি বাতিলের পর নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু হঠাৎ সংবাদমাধ্যমে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের খবর প্রকাশিত হয়। এটি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচন ও শতবর্ষের ঐতিহ্য ধ্বংস করবে।”

তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর পরিপন্থি। নীতিতে যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রন্থাগার ও ল্যাব সমৃদ্ধকরণ এবং উচ্চশিক্ষার প্রসারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে উল্টো কলেজগুলোকে সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে। তাই তারা অধিভুক্ত কলেজ কাঠামো বজায় রাখার পক্ষে এবং স্বতন্ত্র ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির বিরোধিতা করেন।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এটা আমার বিষয় নয়, হ্যান্ডশেক বিতর্কে নির্ভার রউফ Sep 18, 2025
img
২৮ বছর পর 'ইক্কা'-য় একসঙ্গে জুটি বাধছেন সানি দেওল–অক্ষয় খান্না Sep 18, 2025
img
সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ে সূচনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Sep 18, 2025
img
প্রযোজকদের বাড়তি খরচ প্রসঙ্গে আমির খানের পাশে দাঁড়ালেন হর্ষবর্ধন রানে Sep 18, 2025
img
ইসির সংলাপে জাতীয় পার্টির ডাক পাওয়া প্রশ্নে সচিবের মন্তব্য Sep 18, 2025
img
হঠাৎ শ্রীলঙ্কা ফ্যান হয়ে গেছে বাংলাদেশিরা, লঙ্কান বোর্ডের স্টোরি Sep 18, 2025
img
নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কর্মকর্তা সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশের অনুমোদন Sep 18, 2025
img
‘লর্ড মার্কো’ নামে ফিরছে মালয়ালমের আলোচিত গ্যাংস্টার ড্রামা Sep 18, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না দিলে জনগণই দিতে বাধ্য করবে: মুফতি ফয়জুল করিম Sep 18, 2025
img
ইসলামি দলগুলোর জোটবদ্ধ হওয়া নিয়ে হেফাজত আমিরের মন্তব্য Sep 18, 2025
img
আগেভাগেই নেটফ্লিক্স কিনে নিল আল্লু অর্জুন–অ্যাটলি'র ছবির স্বত্ব Sep 18, 2025
img
আগেভাগেই নেটফ্লিক্স কিনে নিল আল্লু অর্জুন–অ্যাটলি'র ছবির স্বত্ব Sep 18, 2025
img
ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা : ভিপি পদে ইব্রাহীম, জিএস হাবিব Sep 18, 2025
img
আ. লীগকে ফেরাতে ভারত সেকেন্ড প্রকল্প চালু করেছে : ফারুক হাসান Sep 18, 2025
img
কল্কি সিক্যুয়েল থেকে বাদ পড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন Sep 18, 2025
img
গার্দিওলার চোখে ইতিহাসের সেরা কোচ কে? Sep 18, 2025
img
আন্দোলনের সময় ড. ইউনূসের সঙ্গে যে কথা হয়েছিল নাহিদের Sep 18, 2025
img
সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শিল্প গ্রুপের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
জামায়াতের কৌশলগত ভুলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ দেখছেন মান্না Sep 18, 2025
img
সীমানা নির্ধারণে আদালতের রায় মেনে চলবে ইসি Sep 18, 2025