বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স। ২০২১ সালে আধুনিকভাবে মধুবন চালু করা হলেও শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে ‘একেবারে বন্ধ’ করে দেওয়া হচ্ছে আধুনিক এই প্রেক্ষাগৃহটি।
মধুবন সিনেমা হলের মালিক রোকনুজ্জামান ইউনূস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মধুবন একেবারে বন্ধ রাখছি। সিনেমা হল ভেঙে ওখানে কী বানাব এখনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারিনি।
মাসের পর মাস এত লস খেয়েছি যে এই ভার বইতে পারছি না। আজই শেষ দিন। এ সপ্তাহে নন্দিনী ছবি চালাচ্ছিলাম। কিন্তু দর্শক পাইনি।
ছবি চালালে যে খরচ হয়, সেটাও তুলতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ আছে। সিনেমা চালিয়ে ব্যবসা না হলে কিভাবে এই খরচ তুলব? আমার ইচ্ছে একেবারে বন্ধ থাকবে। তবু দেখব নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত।
তার আগে আর চালু করব না। ওদিকে মণিহার বন্ধ হচ্ছে, আগামীকাল থেকে আমি মধুবন বন্ধ করে দিচ্ছি। আগামী মাসে লায়ন সিনেমাও বন্ধ করে দেবে। আগামী সপ্তাহে আমরা প্রেস কনফারেন্স করে জানাব।’
রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দেশের সিনেমা যেখানে ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না।
তাই আমরা চেয়েছিলাম বাইরের সিনেমা দিয়ে সিনেমা হল সচল রাখব। বিদেশি ভালো সিনেমাগুলো চালাতে পারলে দর্শক হলে আসা অব্যাহত রাখত, সেই প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাগুলোও ভালো চলতে পারত। কিন্তু ইন্ডিয়াসহ অন্যান্য সিনেমা আসা একেবারে বন্ধ। এই অবস্থায় আর লোকসান টানা সম্ভব নয়।’
মধুবন সিনেপ্লেক্সের আসন সংখ্যা ছিল ৩৩৬টি। নির্মাণের পর এই হলেই পরাণ, হাওয়া, প্রিয়তমা, তুফান, বরবাদ সিনেমাগুলো রমরমা ব্যবসা করে। এমনকি পরিবার নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শকদের জন্যও সর্বশেষ ‘বরবাদ’ সিনেমায় একাধিক দিন ‘মিড নাইট’ চলেছিল মধুবনে।
এমকে/এসএন