শুক্রবার ছুটির দিন। দুপুর বেলা। এরপরও গ্যালারিতে এসেছিলেন কয়েকশ ফুটবলপ্রেমী দর্শক। কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম মোহামেডানের হোম ভেন্যু হলেও কিংস জয় উৎসব করেছে। দশ জন নিয়েও মোহামেডানকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংস।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মোহামেডানের মিনহাজকে জোড়া পায়ের ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সোহেল রানাকে। দশ জন হয়ে কিংস যেন আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। ৭২ মিনিটে রাফায়েল আগুস্তোর গোলে এগিয়ে যায় কিংস।
৭৫ মিনিটে সাবেক ক্লাব মোহামেডানের বিপক্ষে গোল করে কিংসের লিড ৩-১ করেন এমানুয়েল সানডে। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে দোরিয়েলতনের কাটব্যাক থেকে বল পান সানডে। ৮৬ মিনিটে সানডের পাস থেকে বল পেয়ে যান দোরিয়েলতন গোমেজ। বল নিয়ে মোহামেডানের ডিফেন্ডারদের ফাকি দিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে যান ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। ডামি শট করে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দলের পক্ষে জয় সূচক (৪-১) গোলটি করেন দোরিয়েলতন।
এরপরই ঘটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। গ্যালারি থেকে সমর্থকরা কিংসের পোস্টের দিকে পানির বোতল, স্মোক ফ্লেয়ার মারে। এতে ম্যাচ বন্ধ থাকে মিনিট ছয়ের মতো। গত আসরে একই ঘটনা কিংস অ্যারেনায় ঘটেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধও ছিল নাটকীয়তাপূর্ণ। ১৩ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হয়। দুটি গোলই পেনাল্টিতে। সপ্তম মিনিটে সোহেল রানার বাড়ানো বল ধরে বক্সের ভেতর ঢুকে যান দোরিয়েলতন। তাকে পেছন থেকে ফাউল করে বসেন মোহামেডানের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিঠু। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মন সানি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েলতন।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। বক্সের ভেতর মোহামেডানের ঘানার ফুটবলার এলি কেকে’কে ফাউল করেন তারিক কাজী। ফলে পেনাল্টি পায় গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ জয়ীরা। বসুন্ধরার গোলরক্ষক সুজন হোসেনকে বোকা বানিয়ে দলকে সমতায় ফেরান মোজাফফরভ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে দারুন এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন দোরিয়েলতন গোমেজ। রাফায়েলের কাট ব্যাকে ফাহিমের ডামিতে বল পান দোরিয়েলতন গোমেজ। তার শট ফিরিয়ে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন।
মোহামেডান দ্বিতীয়ার্ধের শুরু ভালো করেছিল। কিংস দশ জন হওয়ার পর যখন মোহামেডান আরো মরিয়া হয়ে উঠার কথা ছিল। তখন উল্টো কিংস রুদ্রমুর্তি ধারণ করে আরেকটি ট্রফি নিজেদের করে নেয়।
ইএ/টিকে