সমালোচনা প্রচার করা টিভি নেটওয়ার্কের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কিছু টিভি নেটওয়ার্কের সম্প্রচার লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত।
সম্প্রতি ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক বক্তা চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পবিরোধী মন্তব্য করার পর এবিসি টেলিভিশনের লেটনাইট শো সঞ্চালক জিমি কিমেলকে প্রশাসনের চাপের মুখে বরখাস্ত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।
কিমেল ওই শোতে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সন্দেহভাজন হত্যাকারী ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তবে হত্যাকারী বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। সিবিএসের সঞ্চালক স্টিফেন কোলবেয়ার বলেছেন, এটি স্পষ্ট সেন্সরশিপ।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফর শেষে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোথাও পড়েছি, ৯৭ শতাংশ সংবাদ নাকি আমার বিরুদ্ধে গেছে। এর পরও আমি সহজে জিতেছি। তারা শুধু নেতিবাচক প্রচারই করে। অথচ তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, হয়তো তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত।’
এর আগে ৫৭ বছর বয়সী কিমেল তাঁর শোতে বলেন, মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) গ্যাং মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে এই হত্যাকারীকে তাদের বাইরে প্রমাণ করতে এবং রাজনৈতিক সুবিধা নিতে।
কিমেলের বক্তব্যকে ‘অসুস্থ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে আখ্যা দেন মার্কিন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফসিসির চেয়ারম্যান ব্রেনডান কার। তিনি সতর্ক করেন, এবিসি ও অন্য নেটওয়ার্কগুলো আচরণ না বদলালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এবিসির মূল সংস্থা ডিজনির সহযোগী প্রতিষ্ঠান নেক্সস্টার কিমেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার না করার ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
এসএস/টিএ