‘ঢালাও মামলা ও মব’ সহিংসতার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পরে ২০২৪ সালের পর যত মামলা হয়েছে এবং এরপর যত ‘মব ক্রাইসিস’ হয়েছে—এই দুইটা জিনিস এই সরকারের সবচেয়ে বেশি ড্যামেজ করেছে।”
তিনি বলেন, ‘একটা মামলায় দুই হাজার, পাঁচ হাজার জনের নামে মামলা দিয়ে দিছে, যার সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু এই মামলাটা রেকর্ড করে কে? পুলিশ।
আগে তো আমাদের আমাদের মামলা নিতে পারে নাই। আমাকে গুম করা হলো, আমার স্ত্রী জিডিও করতে পারে নাই। পুলিশ বলেছে নেওয়া সম্ভব না।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত ‘পুলিশ সংস্কারের প্রয়োজন : সুশীল সমাজের দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মূল বক্তা ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ। আরো অংশ নেন আইজিপি বাহারুল আলম, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবারক হোসেন।
সাবেক আমলা সালাহউদ্দিন নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “শেষ পর্যন্ত ‘পুলিশকে সবাই ডরায়’—এটা হচ্ছে কথা। আমার কর্মজীবনে আমি দেখেছি, অনেক ওসি টিএনওর বাসায় ডাকাতি করাই তো। সম্পর্ক ভালো না তাই—এটা আমার জীবনে আমি দেখেছি। এই মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে। মানসিক সংস্কার যদি আমাদের না হয়, আইন দিয়ে কখনোই এ সংস্কার হবে না।” ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন পরিবর্তন নিয়ে সুপারিশে তাঁর দলের সমর্থন থাকলেও রাজনৈতিক দল, আমলা ও পুলিশ—এই তিন পর্যায়েই ‘মানসিক সংস্কার’ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।