ওপার বাংলার জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এক লাইভ কনসার্টে ভগবান রামকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে এবং জনগণের মনে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। দুই বছর আগে করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর না করায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংগঠনের এক নেতা। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই, তাই এফআইআর করার কোনো ভিত্তিই তৈরি হয়নি। ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নচিকেতা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে বড়সড় স্বস্তিতে নচিকেতা। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় আঘাতের অভিযোগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে মামলা করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। কিন্তু শনিবার বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত নির্দেশে তা খারিজ হয়ে গেল।
জানা গেছে, একটি লাইভ শোতে ভগবান রামকে নিয়ে নামে তির্যক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে নচিকেতা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তা হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার শামিল। এ নিয়ে শ্যামপুকুর থানার তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্তও। কিন্তু সম্প্রতি তথ্য-প্রমাণের অভাবে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, অভিযোগ গুরুতর হলেও তার কোনো প্রমাণ মেলেনি, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার ক্লিপিংসের ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে কোনো তারিখ বা স্থানের কোনো উল্লেখ নেই।
পাশাপাশি, অভিযোগ অনুযায়ী গায়কের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো হিংসার ঘটনাও পুলিশি রিপোর্টে উল্লেখ নেই। অর্থাৎ উসকানি বলে প্রমাণ করা যাচ্ছে না। তাই এই অভিযোগ আদালত গ্রাহ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে না। আর এসব তথ্য-প্রমাণের অভাবেই গায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে নিঃসন্দেহে স্বস্তিতে নচিকেতা চক্রবর্তী। অনুরাগীদের একাংশের মত, গায়ককে কালিমালিপ্ত করতে এহেন পদক্ষেপ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। কারো কারো মতে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু আদালত তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।
এসএস/এসএন