এক ইঞ্চি মাটি নিয়েও চুক্তি হবে না, বাগরাম ঘাঁটি নিয়ে বলল আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালে তালেবানের যোদ্ধারা যখন কাবুল ঘিরে ফেলে তখন ঘাঁটি থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় মার্কিন সেনারা।

চার বছর পর এ ঘাঁটি ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। রোববার তিনি হুমকি দিয়েছেন, যদি আফগানিস্তান এ ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয় তাহলে খারাপ কিছু হবে। তিনি বলেছেন, এটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তাদের হাতেই এটি তুলে দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র মূলত আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে বাগরাম ঘাঁটি ফেরত নিতে চাচ্ছে। তবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিফ অব স্টাফ ফাইসউদ্দিন ফিত্রাত জানিয়েছেন, কোনো চুক্তির বিনিময়ে আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও দেওয়া হবে না।

তিনি বলেছেন, “কিছু মানুষ রাজনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে এই ঘাঁটি ফেরত নিতে চায়। কিছু মানুষ সম্প্রতি বলেছে বাগরাম ঘাঁটি ফেরত নিতে তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটির বিনিময়েও কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। আমরা এমন চুক্তি চাই না।”

পরে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আফগান সরকার সতর্কতা দিয়ে বলেছে, “আফগানিস্তানের স্বাধীনতা এবং ভূখণ্ডের অখণ্ডতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

চীনের খুব কাছাকাছি হওয়ায় এ ঘাঁটি হারানোর ব্যাপারে আগে একাধিকবার হতাশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তবে গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তিনি ঘাঁটি ফেরত দেওয়ার দাবি করেন। এরপর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যান। ওই বছরের জুলাইয়ে আফগান যোদ্ধারা কাবুলের দিকে অগ্রসর হলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।

ওই ঘাঁটি থেকে তারা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী ভেঙে পড়ে। তারা তালেবানের বিরুদ্ধে আর কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি।
ট্রাম্প বলেছেন, বারগাম ঘাঁটি তারা ফেরত চান। এ ব্যাপারে আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

যদি আফগানিস্তান ঘাঁটি ফেরত না দেয় যুক্তরাষ্ট্র কি সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, আপনারা দেখতে পারবেন আমি কি করতে যাচ্ছি।

সুত্র-  এএফপি

এবি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন রাগাসা Sep 21, 2025
img
২৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলায় মুখোমুখি বিটিআরসি-আইওএফ Sep 21, 2025
img
বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি হচ্ছেন মিঠুন মানহাস! Sep 21, 2025
img
শেখ হাসিনা আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি : দাবি আইনজীবীর Sep 21, 2025
img
ক্রুজ-কাণ্ড নিয়ে বন্ধুদের খোঁচা, ফের আলোচনায় আরিয়ান Sep 21, 2025
img
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ২০ Sep 21, 2025
img
ইয়ুমনাকে ধন্যবাদ জানালেন সালমান মুক্তাদির Sep 21, 2025
img
বাংলাদেশের কাছ থেকে পাকিস্তানকে শিখতে পরামর্শ কামরান আকমলের Sep 21, 2025
img
ভাঙ্গায় মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত Sep 21, 2025
img
পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ মানুষের: জরিপ Sep 21, 2025
img
২ লাল কার্ডের ম্যাচে চেলসিকে হারিয়ে ইউনাইটেডের নাটকীয় জয় Sep 21, 2025
img
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশি-বিদেশি চক্রের কেউ রেহাই পাবে না : সিআইডি প্রধান Sep 21, 2025
img
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া Sep 21, 2025
img
বিশ্বের অনেকেই চেনে শাকিব খানকে : তমা মির্জা Sep 21, 2025
img
আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর ঘোষণার প্রয়োজন দেখছেন না তামিম Sep 21, 2025
আফগানিস্তানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, বিমান ঘাঁটি ফেরত দিতে আহ্বান Sep 21, 2025
শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার সুত্রপাত হলো যেভাবে Sep 21, 2025
img
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কড়া বার্তা পেন্টাগনের Sep 21, 2025
img
রাবিতে পোষ্য কোটায় ভর্তির স্থগিতাদেশ সিন্ডিকেটে বহাল Sep 21, 2025
img
আমরা জেনারেশনের বাইরে কোনো চিন্তা করি না : এ্যানি Sep 21, 2025