জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোতোয়ালি থানার হত্যাচেষ্টার এক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় হাসিমুখে কারাগারে যেতে দেখা যায় তাকে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত আসামির রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে দিন জুবায়েরকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক হাবিব ফয়সাল। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মেরিন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এরপর তাকে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসি মুখে যেতে দেখা যায়। কয়েকজন আইনজীবী তাকে সালাম দেন ও সেলফি তোলেন। এসময় তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে ফের হাসতে হাসতে হাজতখানায় যান। তখন তার মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পেছনে হাত রেখে পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর জুবায়ের হোসেনকে ভারত সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট কোতোয়ালি থানাধীন রায়সাহেব বাজার এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন সোয়েব শাহরিয়ার সিভান (২৪)। ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে আসামিদের গুলিবর্ষণে গুরুতর জখমের শিকার হন তিনি। পরে ভুক্তভোগী সিভান হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগীর আরেক সহযোদ্ধা ইরফান আহমদ।
ইউটি/টিএ