বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও ভারতের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। বর্তমানে আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক দা-কুমড়ার মতো বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রনি দাবি করেন, ‘মার্কিন ডিপস্টেট পলিসিতে শেখ হাসিনা বড় বাধা ছিলেন। তাই তাকে সরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ একটি ডিপস্টেট বানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিনরা। আজ সোমবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক এখন দা-কুমড়ার সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটা ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাদের মধ্যে প্রথম বিতণ্ডটা শুরু হয় বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার দোসররা মিলে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘বাইডেন বাংলাদেশের কর্তৃত্ব সরাসরি নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন। মার্কিন ডিপস্টেট পলিসি অনুযায়ী ডোনাল্ড লু, পিটার হাসসহ আরো যাদের নাম আসছে তারা এবং তাদের দোসররা মিলে ভারতের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছিল। তা নিয়ে শুরুর দিকে ট্রাম্প বেশ বিরক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারে ডিপস্টেট থিওরি, ডোনাল্ড লুকে চাকরিচ্যুত করা, পিটার ডি হাসকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। এই কাজগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্প করেছিলেন মূলত নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করার জন্য।’
১৯৫৩ সাল থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন প্রশাসন তাদের পলিসির ধারাবাহিকতা চালু রেখেছেন বলে দাবি করেছেন গোলাম মাওলা রনি। তার দাবি, সেই পলিসিটা হলো বার্মা অ্যাক্ট। রনি বলেন, ‘সেই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান আমলেই আমাদের পার্বত্য জেলাগুলো উত্তাল হয়ে ওঠে।
ওখানে শত শত খ্রিস্টান মিশনারি যারা রয়েছেন, তারা সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওখানে যারা উপজাতি রয়েছেন তাদের অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। তাদের বলা হয় যে স্বাধীন-সার্বভৌম একটা পাহাড়ি জাতি থাকবে তোমাদের।’
১৯৯৬ সালে শান্তিবাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তিতেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস তৈরি করে আমেরিকা আজকের এই অবস্থানে। তারা তাদের যে ডিপস্টেট পলিসি সেই পলিসিতে সামনের সারির বাধাটা হলেন শেখ হাসিনা। তো সেই শেখ হাসিনাকে সরিয়ে এখানে ডিপস্টেট পলিসি বাস্তবায়ন করার জন্য, বার্মা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। তবে এখানে সমস্যা হচ্ছে, ভারতের কাছ থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছে না আমেরিকা।’
এসএস/টিএ