ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বেলজিয়াম। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বের্ত দি ওয়েভার গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে বৈশ্বিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) নীতির বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আয়োজক দেশ ফ্রান্স জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর অঙ্গসংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ব্যতীত জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্যরাষ্ট্র সম্মেলনে শামিল হয়েছিলেন। সম্মেলনে ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বেলজিয়ামও তাদের মধ্যে অন্যতম।
তবে প্রধানমন্ত্রী বের্ত দে ওয়েভার বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে বেলজিয়াম স্বীকৃতি দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এখনই তা কার্যকর হচ্ছে না। অর্থাৎ আপাতত ফিলিস্তিনে দূতাবাস স্থাপন করছে না বেলজিয়াম। স্বীকৃতি পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ বেশ কয়েক জন মন্ত্রী বলেছেন, ফিলিস্তিন নামে কোনো রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হবে না। আমরা মনে করি, এটি ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের ওপর আঘাত। একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রাপ্য।”
“এ কারণে বেলজিয়াম ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ এই বৈশ্বিক সম্মেলনে যেসব রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের মধ্যে শামিল হলো বেলজিয়ামও।”
“তবে আমাদের এ পদক্ষেপের কারণে হামাস (গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী) উপকৃত হবে— এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। এই স্বীকৃতি তখনই কার্যকর হবে যখন হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে, অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং গাজার প্রশাসন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবে।”
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
ইএ/এসএন