প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

প্রতিবেশীদের সঙ্গে যুদ্ধ করলে কখনোই স্থিতিশীলতা পাবে না ইসরায়েল

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধ চলতে থাকলে ইসরায়েল কখনোই নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারবে না। এমনটাই বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ফিলিস্তিন, লেবানন ও অন্য আঞ্চলিক পক্ষের সঙ্গে সংঘাত কেবল অস্থিতিশীলতাই বাড়ায়।

ম্যাক্রোঁ বলেন, “প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধ চললে ইসরায়েলের কোনো নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা থাকবে না।”

তিনি আরও জানান, গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধান রক্ষা করতে মঙ্গলবার একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং বলেন, জাতিসংঘের ১৪২টি সদস্য রাষ্ট্র “নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন”-এ স্বাক্ষর করেছে। আর এই শান্তি প্রচেষ্টায় ফ্রান্স ও সৌদি আরব নেতৃত্ব দিয়েছে।

সিরিয়া প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ বলেন, আসাদ সরকার পতনের পর দেশটিকে তার ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফ্রান্স এমন রাজনৈতিক রূপান্তরকে সমর্থন করে যা সিরিয়ার নাগরিক সমাজের সব অংশকে সম্মান করে।

তার মতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনই দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে এবং পূর্ণ সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব করে তুলতে পারে। এছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে না এলে পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

ইউক্রেন প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, প্যারিস ও লন্ডন যৌথভাবে ৩৫ দেশের একটি জোট গড়ে তুলেছে, যারা কিয়েভকে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে।

তার ভাষায়, “ইউক্রেন বারবার জানিয়েছে তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি এবং আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। বিষয়টি এখন রাশিয়ার হাতে, তারা শান্তি বেছে নিতে চায় কিনা, সেটাই প্রমাণ করতে হবে। অথচ তারা একই সময়ে ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বাড়াচ্ছে এবং নানা উসকানি দিচ্ছে।”

ম্যাক্রোঁ আরও অভিযোগ করেন, রাশিয়া ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধেও উসকানিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে পোল্যান্ডের আকাশসীমায় যা ঘটেছে, এস্তোনিয়ায় ও অন্যান্য জায়গায় যে উসকানির ঘটনা আমরা দেখেছি, এসব প্রমাণ করে, রাশিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকির মুখে পুরো ইউরোপ।”

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সালমানকে ‘নোংরা বাবার নোংরা ছেলে’ বলে তোপ পরিচালকের Sep 24, 2025
img
ভারত ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ Sep 24, 2025
জাতিসংঘে গাজা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিশ্বনেতারা Sep 24, 2025
img
‘অওয়ারাপান ২’ শুটিং শুরু, শিবামের ভূমিকায় ফিরছেন ইমরান হাশমি Sep 24, 2025
img
শর্তে হেরে অক্ষয়কে বিয়ে করেন টুইঙ্কেল, ক্ষতির সম্মুখীন আমির Sep 24, 2025
img
প্রথমবার একসঙ্গে রোমান্টিক ভিডিওতে তানিয়া-সানি Sep 24, 2025
img
ফাইনালের পথে ‘বাধা’ বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের নায়কের মন্তব্য Sep 24, 2025
img
কোর্টরুম সিরিজে একসঙ্গে ইয়ামি ও ইমরান হাশমি Sep 24, 2025
img
গুগলের এআই টুলস বদলে দিচ্ছে কোডিংয়ের ধারা Sep 24, 2025
img
মির্জা ফখরুল বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেননি : বিএনপি Sep 24, 2025
img
জি স্টুডিও ও বালাজির যৌথ প্রযোজনায় আসছে 'মাস্তিiii ৪' Sep 24, 2025
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই মাছ শিকর করছে উপকূলের জেলেরা। Sep 24, 2025
img
ওয়েব সিরিজ প্রযোজক হিসেবে সানি লিওনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা Sep 24, 2025
img
শ্রম উপদেষ্টার সঙ্গে ওআইসি শ্রমকেন্দ্রের মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ Sep 24, 2025
img
বলিউড তারকাদের দুবাইয়ে নকল হেভিওয়েট বিয়ে, ঢোকার টিকিট ২০০ দিরহাম Sep 24, 2025
img
নিউইয়র্কে ডিম ছোড়ার ঘটনার পর আটক যুবলীগ নেতা জামিনে মুক্ত Sep 24, 2025
img
রূপগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় আগুন Sep 24, 2025
img
একসময় গ্রেপ্তার করা জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট Sep 24, 2025
img
আগারগাঁওয়ে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ১ জনের প্রাণহানি Sep 24, 2025
img
সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ক্যানসারে আক্রান্ত : আইনজীবী Sep 24, 2025