সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘ নিয়ে তীব্র উপহাস ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন। সেখানে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে পুনরাগমনের পর এটি ছিল জাতিসংঘে তার প্রথম ভাষণ। স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এদিন দীর্ঘ এক ভাষণ দেন ট্রাম্প, যেখানে জাতিসংঘকে নিয়ে নিষ্ঠুরভাবে উপহাস করেন তিনি।  

আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। 

জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘের উদ্দেশ্যই বা কী? তাদের যা করতে দেখা যায় তা হলো খুব জোরালো ভাষায় একটি চিঠি লেখা। এগুলো ফাঁকা বুলি, আর ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ থামে না। 

বিশ্বব্যাপী সংঘাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রচেষ্টায় নিজের ভূমিকা তুলে ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি সাতটি ক্ষেত্রে সফল হয়েছি। এ সাফল্য আমার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করে এবং একই সঙ্গে জাতিসংঘের অকার্যকারিতা স্পষ্ট করে। 

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয়, এসব কাজ আমাকে করতে হলো, অথচ জাতিসংঘ কিছুই করলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কোনো ক্ষেত্রেই সংস্থাটি সহায়তা করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।

এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একবার ভাঙা লিফট (এসকেলেটর) আর নষ্ট টেলিপ্রম্পটারের অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের ভাষায়, জাতিসংঘ থেকে আমি শুধু দুটো জিনিসই পেয়েছি -একটি হচ্ছে খারাপ এসকেলেটর আর আরেকটি টেলিপ্রম্পটার।

মার্কিন বেশ কিছু মিত্র দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ‘ভয়াবহ নৃশংসতার জন্য হামাসকে পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

ইউরোপীয় মিত্রদের পাশাপাশি চীন ও ভারতের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। তবে তিনি মস্কোর ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে সংযত ছিলেন, যদিও উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন অনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত।

সবচেয়ে কড়া ভাষায় তিনি আক্রমণ করেন অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে। ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘ অভিবাসনের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর এক ধরনের ‘আক্রমণ’ বাড়িয়ে তুলছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ হলো ‘বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতারণা।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সৌদিতে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ Sep 24, 2025
img
কিংস কাপে দাপুটে জয়ে পরবর্তী রাউন্ডে আল নাসর Sep 24, 2025
img

ইনোভেশনের জরিপ

সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বিএনপির Sep 24, 2025
img
নীলক্ষেতের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া যাবে না, সত্য উন্মোচিত হবেই: আবিদুল Sep 24, 2025
img
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের আবেদন খারিজ, অর্থপাচার মামলায় বিচার চলবে Sep 24, 2025
img
ব্যাংককের ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ ধস, চারদিকে আতঙ্ক Sep 24, 2025
img
তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে রাজপথে নামিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী Sep 24, 2025
img
নগরবাসীর স্বার্থেই বিল্ডিং কোড চূড়ান্ত করতে হবে রাজউককে : পরিবেশ উপদেষ্টা Sep 24, 2025
img
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ মুক্তি পাচ্ছে ‘মারদানি ৩’ Sep 24, 2025
img
রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের Sep 24, 2025
img
সালমানকে ‘নোংরা বাবার নোংরা ছেলে’ বলে তোপ পরিচালকের Sep 24, 2025
img
ভারত ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ Sep 24, 2025
জাতিসংঘে গাজা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিশ্বনেতারা Sep 24, 2025
img
‘অওয়ারাপান ২’ শুটিং শুরু, শিবামের ভূমিকায় ফিরছেন ইমরান হাশমি Sep 24, 2025
img
শর্তে হেরে অক্ষয়কে বিয়ে করেন টুইঙ্কেল, ক্ষতির সম্মুখীন আমির Sep 24, 2025
img
প্রথমবার একসঙ্গে রোমান্টিক ভিডিওতে তানিয়া-সানি Sep 24, 2025
img
ফাইনালের পথে ‘বাধা’ বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের নায়কের মন্তব্য Sep 24, 2025
img
কোর্টরুম সিরিজে একসঙ্গে ইয়ামি ও ইমরান হাশমি Sep 24, 2025
img
গুগলের এআই টুলস বদলে দিচ্ছে কোডিংয়ের ধারা Sep 24, 2025
img
মির্জা ফখরুল বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেননি : বিএনপি Sep 24, 2025