ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান ওরফে লিমনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এদিন দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান।
তিনি বলেন, স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ মামলা করেছেন। আজ বুধবার সকালে মামলার ৬ নম্বর আসামি জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান ও ৭ নম্বর আসামি আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় মাহেন্দ্র শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা অন্তত ১৬টি মাহেন্দ্র ভাঙচুর করে।হামলায় ১০ জন মাহেন্দ্র শ্রমিক আহত হন। এদের মধ্যে ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী মাহেন্দ্র শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের ক্যাডার শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। শাহীন হাওলাদারসহ বেশকিছু যুবক কয়েক মাস ধরে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডটি দখলের চেষ্টা করছিল। তারা স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত প্রতিটি মাহেন্দ্রর কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করত। গত কয়েকদিন ধরে মাহেন্দ্র চালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল যুবদল নেতার অনুসারী শাহীন হাওলাদার ও তার লোকজন। এজন্যই পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
জেলা মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও তার অনুসারী শাহীন হাওলাদাররা মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে আসছিল। তারা এ স্ট্যান্ডটি দখলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বুধবার সকালে থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান ও ৭ আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
ইউটি/টিএ