জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, শাপলা প্রতীকের ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সিরিয়াস। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আমরা মনে করছি। তাদের একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে ধরনের নিরপেক্ষ ভূমিকা হওয়ার কথা সেরকম ভূমিকার জায়গা থেকে তারা এই সিদ্ধান্তে আসে নাই। ফলে আমরাও এটা রাজনৈতিকভাবেই নেব এবং আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার যে ব্যাপার, যা যা থাকবে সেগুলো নিয়ে আমাদের লিগ্যাল এক্সপার্টদের সাথে কথা বলব।
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, আমাদের সারাদেশের যে নেতাকর্মী এবং সমর্থক আছে তারা এই প্রতীকটাকে নিজেদের প্রতীক মনে করেছে। ফলে আমরা এটার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক চাপ তৈরি, যা যা করার প্রয়োজন সেটা করবো। যে সিদ্ধান্তটা নির্বাচন কমিশন নিয়েছে এটা কিন্তু একটু অদ্ভুত।
গ্রীন সিগনাল পাওয়ার পরেই আমরা এই প্রতীকটার ব্যাপারে বেশি কনফার্ম হয়েছিলাম যে, এই প্রতীকটাই আমাদের প্রতীক হবে।
তুষার বলেন, তারা যখন নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন করেন তখন তারা নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় জানে। আমরা দল গঠনের পর থেকেই গত এপ্রিল মাস থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের টানা বৈঠক চলে আসছে। আরপিও কেমন হবে প্রবাসীদের ভোটাধিকার সহ নানা বিষয়ে।
তিনি বলেন, আরো একটা দল নাগরিক ঐক্য তারাও শাপলা প্রতীকের কথা বলেছে। দুটো দলের যেহেতু দাবি আছে, আমরা বলেছিলাম যে এটা যেন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমাদের সাথে তারা মিটিং-এ বলেছে যে, হ্যাঁ এটা আমরা অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছি। সেই কারণেই আমরা চূড়ান্তভাবে ২২ জুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলাম। এই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় আমরা এই প্রতীকটাকেই চেয়েছি এবং সেটা মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে।
তখন থেকেই এই আলোচনাটা মানুষ একরকম শাপলা এবং এনসিপিকে সমার্থক করেই চিন্তা করছিল।
তুষার আরো বলেন, পরবর্তীতে যখন আমাদের জুলাই পথযাত্রা হয় সেখানে দেখেছি যে, মানুষ একেবারে আসল যে শাপলা খাল-বিল থেকে সেগুলোকে নিয়ে এসে আমাদের বিভিন্ন পথসভায় অংশ নিচ্ছে। ফলে এটা আমাদের সাথে জুড়ে গেছে। তারপর হঠাৎ করে যখন জুলাই মাসে এসে নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে জানালো এটা জাতীয় প্রতীক হওয়ার কারণে আমরা এটা এনসিপিকে দিতে পারছি না। তখন আমরা তাদের কাছে আবারও যাই। তারা যে একটা ভুল আইনি ব্যাখ্যা দিচ্ছে এটা লিখিতভাবে তাদের সামনে উপস্থাপন করি যে, শাপলা জাতীয় প্রতীক না। পানিতে ভাসমান শাপলা জাতীয় প্রতীকের অংশ। আমরা শুধু শাপলার কথা বলেছি। ইভেন আমরা বলি নাই যে, পানিতে ভাসমান শাপলা আমাদের মার্কা হিসেবে। দুটোর মধ্যে কিন্তু খুব বড় পার্থক্য আছে।
এসএন