কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছেন ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত তাহমিদ আলম সফি। ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ সম্প্রতি ছয় সদস্য বিশিষ্ট এ আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরে ২৪ সেপ্টেম্বর এ কমিটি অনুমোদন হয়। অনুমোদিত কমিটির সভাপতি তাহমিদ আলম সফি ছাড়াও রয়েছেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নাঈম তোহা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজিদুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সাবিত তাবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাবিলা ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফা ফারদিন।
তথ্য যাচাই করে জানা গেছে, কমিটির ছয় সদস্যের মধ্যে পাঁচজনই ইন্টার্নশিপের শেষ পর্যায়ে আছেন। কেবল সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবিত তাবি এখনো তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে নতুন সভাপতি তাহমিদ আলম সফির পূর্বে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের কক্সবাজার জেলা শাখার সমাজসেবা সম্পাদক পদে থাকার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে অনুমোদিত সেই কমিটিতে তার নাম ছিল। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া থেকে শুরু করে ফেসবুকে ছাত্রলীগের প্রচারণাও করেছেন।
তবে সফির দাবি, পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কলেজ জীবনে জোরপূর্বক নাম যুক্ত করে তাকে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদে নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। “আমার মননে সবসময় ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী আদর্শ কাজ করেছে,”—বলেন সফি।
জানা গেছে, বর্তমানে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। এক বছর দুই মাস আগে জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে জেলা পর্যায়ে শূন্যতা বিরাজ করছে।
এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে গত ২৯ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারিদের রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ক্লাবের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। সেই অবস্থাতেই ছাত্রদল কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের কমিটিগুলো সরাসরি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল দেখে। তবে তাহমিদ সফির বিষয়ে বিতর্ক থাকায় আমি তাকে ফুল দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছি।’
রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছাত্রদলের এ কমিটি অনুমোদনকে ঘিরে কক্সবাজারে তুমুল আলোচনা চলছে।
এমআর/টিকে