‘রাজধানীর উত্তরায় জুলাইযোদ্ধা কে এম মামুনের গুম ইস্যুতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জাতীয় যুবশক্তির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। মূলত নাহিদ ও হাসনাতদের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করতে এমন অপপ্রচার করছে একটি “গুপ্ত বাহিনী”। এমনটি চলতে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় বাংলামোটরে এনসিপির যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন আমাদের জুলাই সহযোদ্ধা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা ছিল। তাই তার নিখোঁজের পর সর্বপ্রথম আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। হাসনাত আবদুল্লাহ বিবৃতি দিয়েছেন। তার সন্ধান চেয়ে যুবশক্তির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। অথচ উত্তরার তথাকথিত শুভাকাঙ্ক্ষী গ্রুপ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মূলত নাহিদ-হাসনাত, এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করতে এ ধরনের প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তারা। আমাদেরকে বলছে আমরা নাকি যুবলীগ হয়ে গেছি। তাই মামুনের গুমে আমাদের হাত রয়েছে। অথচ পুলিশ ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী এতে আমাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যাচার চলছে। আমরা মনে করি এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তারিকুল বলেন, ‘আমরা কারও পেশিশক্তি হিসেবে কাজ করছি না। সব সময় যুবকদের কল্যাণে কাজ করছি। তাই আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে একটি গুপ্ত শক্তি বট আইডির মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে।’ তারা কারা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জানা নেই। তবে আমরা এ বিষয়ে আইনিব্যবস্থা নেবো।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল বলেন, ‘কে এম মামুন আমাদেরই সহযোদ্ধা ছিলেন। তাই তার সন্ধান চেয়ে আমরা শুরুতেই সরকারের বিভিন্ন মহলে গিয়েছি। প্রশাসনকে চাপ দিয়েছি। অথচ অনেকে বলছেন আমরা নাকি যুবলীগ পুনর্বাসন করছি। যা খুবই দুঃখজনক।’
ইউটি/টিএ