ভারত আমাদের জবাব সবসময় মনে রাখবে: শেহবাজ শরীফ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ অভিযোগ করেছেন, ভারত তাদের ভূখণ্ড ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এর জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তান, যা ভারত কখনো ভুলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।                                    

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মঞ্চ থেকে পাকিস্তান-ভারতের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন শেহবাজ। তিনি জানান, গত এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তান সূক্ষ্ম তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু ভারত সেটি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে আঘাত হানে।              

ভারতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণের সমালোচনা করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ভারতের আগ্রাসনের জবাবে তাদের সাতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়। “এই জবাব ভারত কোনোদিন ভুলবে না,” যোগ করেন তিনি।

এ সময় শেহবাজ সতর্ক করে বলেন, সিন্ধু নদ চুক্তি লঙ্ঘনকে পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, হিন্দুত্ববাদ শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেহবাজ আরও জানান, পাকিস্তান-ভারত সংঘাত প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছিলেন। এ ভূমিকার জন্য পাকিস্তান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়। এছাড়া উত্তেজনার সময়ে যেসব দেশ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। বক্তৃতায় তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়েও মত প্রকাশ করেন এবং বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে পাকিস্তান সব সময় তাদের পাশে থাকবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে ঘন ঘন ভয়াবহ বন্যার প্রসঙ্গ টেনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শেহবাজ শরীফ।                 

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ Sep 27, 2025
যে কারণে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো সোহেল তাজকে Sep 27, 2025
img
আদালতের নির্দেশে শাহরুখ ও আরিয়ানের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল Sep 27, 2025
img
পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক গড় লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ Sep 27, 2025
img
নিষিদ্ধ করা এত সহজ হলে প্রথম দিনই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতো : মোস্তফা ফিরোজ Sep 27, 2025
img
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করতে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুনানির আবেদন Sep 27, 2025
img
আইন সবার জন্য সমান কি না - প্রশ্ন মাসুদ কামালের Sep 27, 2025
img
অভিষেককে দ্রুত আউট করার পরামর্শ শোয়েবের, পাল্টা খোঁচা অমিতাভপুত্রের Sep 27, 2025
img
কাউন্সিলরের পর এবার বিসিবির পরিচালক পদেও নির্বাচন করবেন আসিফ Sep 27, 2025
img
নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ধস, শতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা Sep 27, 2025
img
দুর্গাপূজায় সারাদেশে ২৮৫৭ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি Sep 27, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ছাড়াল ১ লাখ ৯৪ হাজার Sep 27, 2025
img
দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান Sep 27, 2025
img
কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ১৯৯ Sep 27, 2025
img
জাপাকে নিষিদ্ধ করা রাজনৈতিক ইস্যু, আওয়ামী লীগের দোসর-কোলাবরেটর কিচ্ছু না : জাহেদ উর রহমান Sep 27, 2025
img
ভরা মঞ্চে সালমানকে খোঁচা, কুমারত্ব নিয়ে টুইঙ্কলের রসিকতা Sep 27, 2025
img
রোনালদো-হলান্ডের রেকর্ড ভেঙে কেইনের শততম গোল Sep 27, 2025
img
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় ছিলেন না বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি, ছবি ভাইরাল Sep 27, 2025
img
নিউইয়র্কের ঘটনা তিন স্তরের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি : জিল্লুর রহমান Sep 27, 2025
img
শাহ আমানত বিমানবন্দরে আবারও চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট Sep 27, 2025