বিদ্যমান আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না, করবেও না। আইন যেভাবে আছে, সে অনুযায়ীই কমিশন নির্বাচনি কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু হল মিলনায়তনে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াতের পিআর পদ্ধতি দাবিতে আন্দোলন ও এনসিপির প্রতীক বরাদ্দ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, এগুলো কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যমান আইনের আওতায়ই কমিশন তার কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং আগামীতেও চালাবে।
পূর্বের নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের আর দায়িত্ব দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অতীতে নির্বাচনে অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদেরকে আমরা দায়িত্ব থেকে দূরে রাখব।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় এবং ভোট কারচুপি রোধে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান আনোয়ারুল ইসলাম। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল টিম, মোবাইল কোর্ট, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি ও পর্যবেক্ষক টিম গঠন এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব একেএম নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, সিবিটিইপি প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।
কর্মশালায় মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনে যুক্ত প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কেএন/টিকে