গাজায় একদিনে নিহত ৬০, মোট প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার ৫০০

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৪২ জন।


শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


তবে হামলায় নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকের মরদেহ চাপা পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যার পর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে মোট নিহত সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৪৯ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত ২৭ মে থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

আন্তর্জাতিক জনমতকে উপেক্ষা করে গাজায় নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য গত নভেম্বরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

এছাড়া জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র : আলজাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতিতে চীনকে সহায়তা করছে রাশিয়া, ফাঁসকৃত নথিতে চাঞ্চল্য Sep 27, 2025
img
নুরু-নাহিদরা কি চমক দেখাতে পারবেন- প্রশ্ন রনির Sep 27, 2025
img
ইউরোপীয় পার্লামেন্টারি দলের সঙ্গে বৈঠক করল বিএনপি Sep 27, 2025
img
বাংলাদেশি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ, রানআউটও বাতিল Sep 27, 2025
img
সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আটলান্টার জয় Sep 27, 2025
img
কেন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেননি ওবামা? Sep 27, 2025
img
মুসলিম পর্যটকদের সুবিধার জন্য জাপানের শপিংমলে নামাজ কক্ষ Sep 27, 2025
img
দক্ষ মানুষ তৈরির পরিকল্পনা যারা করবে তাদের সন্তানরা দেশে পড়ালেখাই করে না: জামায়াত আমির Sep 27, 2025
img

সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া

‘কোমলমতি বাচ্চা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লেবাস ধরে থাকে জামায়াত-শিবির’ Sep 27, 2025
img
শ্রেয়াস আইয়ার বিষয়ে মুখ খুলল বিসিসিআই Sep 27, 2025
img
বিএনপিকে আদর্শিক দল হিসেবে মানুষ দেখতে চায় : আমীর খসরু Sep 27, 2025
img
কোহলি-রিজওয়ানকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লেন অভিষেক শর্মা Sep 27, 2025
img
নুরের অবর্তমানে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ফারুক Sep 27, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন বিশ্বনেতারা Sep 27, 2025
img
চলচ্চিত্র অঙ্গনে ফিরছেন পপি! Sep 27, 2025
img
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ Sep 27, 2025
যে কারণে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো সোহেল তাজকে Sep 27, 2025
img
আদালতের নির্দেশে শাহরুখ ও আরিয়ানের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল Sep 27, 2025
img
পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক গড় লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ Sep 27, 2025
img
নিষিদ্ধ করা এত সহজ হলে প্রথম দিনই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতো : মোস্তফা ফিরোজ Sep 27, 2025