রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে যা ঘটেছে- ডিম নিক্ষেপ, ধাক্কাধাক্কি, অশ্রাব্য স্লোগান ও নারী নেত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যতা- এসব মোটেই ছোটখাট তুচ্ছ ঘটনা নয়। এই দৃশ্য মূলত তিনটি স্তরের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। এর মধ্যে প্রথম হলো, রাষ্ট্রীয় ও কূটনৈতিক প্রস্তুতির দুর্বলতা। দ্বিতীয়তো দলগুলোর ডায়াসপোরা রাজনীতিকে নিরাপদ অশালীন রাখার অক্ষমতা আর অন্যটি হচ্ছে আমাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে বিদেশের জনপরিসরে রপ্তানি করার অনভ্যাস।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
জিল্লুর রহমান আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সরকারি প্রোটোকলে আগেই বেরিয়ে যান। পরে বিএনপি মহাসচিব ও এনসিপি নেতারা প্রোটোকল ছাড়া বেরোতেই হামলা, ডিম-গালাগাল সব ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরাও মিসকমিউনিকেশন ও টাইমিং দায়ী করেছেন।
এখানে রাজনৈতিক নৈতিকতার প্রশ্ন যেমন আছে, তেমনি কৌশলগত ব্যর্থতার প্রশ্ন আছে। কারণ এমন রিস্ক ল্যান্ডস্কেপে স্ট্যাগড এক্সিট মানেই কেবল সময়ের ব্যবধান নয়। মানে আলাদা রুট, আলাদা করিডর, আলাদা কাভার এবং আলাদা কন্টেনজেন্সি। নারী নেত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যতা বা শারীরিক হুমকি এসব যেকোনো রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তিকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তিনি আরো বলেন, এই ধরনের ঘটনা ৫ আগস্টের পর আমরা বাংলাদেশে দেখেছি। যখন কাউকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তখন তাদের ওপরে জুতা ছোঁড়া-কিলঘুসি মারা হয়েছে। একজন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তো একই রক্ত-মাংসের মানুষ। বাংলাদেশে যা, বাংলাদেশের বাইরেও একই কাজ করি।
জিল্লুর রহমান বলেন, নিউইয়র্কের ঘটনার যারা নিন্দা করবেন, তাদের ঢাকায় যেগুলো ঘটেছে, সেগুলোরও নিন্দা করতে হবে। আইন কারো নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। সেটা আওয়ামী লীগের উচিত নয়, বিএনপিরও উচিত নয়, জামাতের উচিত নয়, এনসিপিরও নয়।
কেএন/টিএ