আইন সবার জন্য সমান কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, একটি খবর পড়ে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে আমার দেশ পত্রিকায়। নিউ ইয়র্কের প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠান কাভার করতে অনেক সাংবাদিক গিয়েছেন, সেখান থেকে আমার দেশের সাংবাদিক এম এ নোমান একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।
আমি রিপোর্টের শিরোনাম পড়ছি না, আপনারা দেখে নিন। সেই রিপোর্টে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা কী নির্দেশ দিয়েছেন তার বিস্তারিত রয়েছে।
মাসুদ কামাল বলেন, আমি সেখান থেকে আপনাকে একটু চুম্বক অংশ পড়ে শোনাচ্ছি, শেখ হাসিনার বক্তব্যটুকু ছাড়া, এটা আমি কেন পড়ছি না সেটা পরে বলছি। এখানে বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে, ৮টা ঘরোয়া মিটিং হয়েছে, সেখানে প্রতিটি সভায় ভার্চুয়ালি ছিলেন শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়। জয় বক্তব্য রেখেছেন মিটিংগুলোতে এবং তারা নানা ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মাসুদ কামাল বলেন, আমি এই রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাইনি এই কারণে যে গত ২২ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার একটা নির্দেশনা জারি করেছে। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বক্তব্য যেকোনোভাবে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের এই নির্দেশনা ভালো নাকি মন্দ সেটা অন্য বিতর্ক।
কিন্তু যে নির্দেশনাটা দিয়েছে আইন মান্যকারী নাগরিক হলে আমি কিন্তু নির্দেশনাটাকে অমান্য করব না।
মাসুদ কামাল বলেন, আমি আশা করব সরকার আমার দেশের ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা নেবে, নেওয়া উচিত। যদি নিতে না পারে বা নৈতিকভাবে মনে করে যে আমার দেশ কাজটা ঠিক করেছে, তবে এই আইনটা তুলে নেওয়া উচিত সরকারের। সেটি না করলে আমার দেশকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে অন্য মিডিয়া যখন এটা প্রচার করবে, তখন আপনি কী করবেন? নাকি আপনি অন্যদের ব্যাপারে ব্যবস্থ নেবেন; আমার দেশের ব্যাপারে নেবেন না। নাকি আমার দেশ আপনার নিজের পত্রিকা এ জন্য নেবেন না? নাকি আপনি ওই পত্রিকার সম্পাদককে ভয় পান এ জন্য নেবেন না? যেকোনো কিছুই হতে পারে।
তিনি বলেন, আমার কথা হলো- আইন সবার জন্য সমান। যে আইন আমার জন্য প্রযোজ্য, সেটি ড. ইউনূসের জন্য প্রযোজ্য। সেই আইন মাহমুদুর রহমান সাহেবের জন্যও প্রযোজ্য। যদি সরকার আইন করে যে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা, তবে আমি জানতে চাইব নিউজটা প্রচারিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার কী কী আইনি ব্যবস্থা নিল।
কেএন/টিএ