ফিলিস্তিনকে এই মুহূর্তে রাষ্ট্র হিসেবে নিউজিল্যান্ড স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স। তবে নিউজিল্যান্ড দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে পিটার্স বলেন, গাজায় যুদ্ধ চলছে, হামাস গাজার শাসক হিসেবে রয়েছে এবং পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে কোনও পরিষ্কার বার্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত রয়ে গেছে। তাই এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া নিউজিল্যান্ডের জন্য যথাযথ সিদ্ধান্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া ইসরায়েল ও হামাসকে আরও কঠোর অবস্থানের দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে।
এদিকে, শনিবার অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ‘কবে’ দেওয়া হবে সেটিই প্রশ্ন, ‘হবে কি না’ সেটি প্রশ্ন নয়।
নিউজিল্যান্ডের এই অবস্থান তার ঐতিহ্যগত অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ব্রিটেনের চেয়ে ভিন্ন। কারণ ওই তিন দেশ গত রোববার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে তারা বিশ্বের আরও ১৪০টির বেশি দেশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে; যারা দখলকৃত অঞ্চল থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটি এমন সময় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, যখন সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি শান্তি ও আলোচনার জন্য বর্তমানের চেয়ে বেশি সম্ভাবনা তৈরি করবে।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল লেবার পার্টি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এ সিদ্ধান্ত নিউজিল্যান্ডকে ইতিহাসের ভুল পাশে দাঁড় করাবে।
লেবার পার্টির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র পিনি হেনারে বলেন, আজকের সিদ্ধান্তে নিউজিল্যান্ড হতাশ হবে। মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান কিংবা টেকসই শান্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়, যদি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া হয়।
সূত্র: রয়টার্স।
এমকে/টিকে