ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন দেশের একটি গণমাধ্যমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করার পর সোমবার সকালে আখাউড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বিমানবন্দর ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে মামলা থাকার কারণে ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রথমে তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা থাকায় তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটমাথা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হওয়ার পরই পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করে তার জীবনে। এরপর ২০১৪ ও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
সবশেষ ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের মো. মনির হোসেনের কাছে হেরে যান। মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকার দুই মেয়াদেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন কিছু সময়।
প্রথমবার তার সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার মুসলেম উদ্দিন ভূঁইয়া। পরের বারের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের আবুল কাসেম ভূঁইয়ার। মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন ছিলেন। এ কারণে মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া তার দুই মেয়াদের ১০ বছর দাপটের সঙ্গে ছিলেন।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি আখাউড়া থানার বিস্ফোরক আইনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।