ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অনেক শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে এবং চোখ হারিয়েছে একটি সুন্দর দেশ পাওয়ার জন্য। প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতি কালো টাকার দৌরাত্ম্য, পেশিশক্তি এবং ভোট জালিয়াতির সুযোগ করে দেয়। যা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার এবং চাঁদাবাজির জন্ম দেয়। তাই এই নির্বাচন পদ্ধতি আর বাংলার জমিনে দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি হচ্ছে- পিআর পদ্ধতি চালু হলে একটি সুষম সংসদ তৈরি হবে। বিশ্বের ৯১টি দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে এবং কোনো দেশই এটিকে বাতিল করেনি বরং নতুন করে আরও দেশ এই পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, অপরাধী ও খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা করছে। তাই সরকারের প্রতি গণভোটের আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের কাছে মত জানতে চাওয়া হোক- তারা কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। সুশাসনের জন্য নাগরিক পরিচালিত এক জরিপে জানা যায় ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কয়েকটি মৌলিক দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। সব শেষে একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ নজরুল আহসান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মা পরিষদ পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এবি/টিএ