শাবানা মাহমুদ

স্থায়ীভাবে থাকতে হলে সামাজিক অবদান রাখতে হবে যুক্তরাজ্যে

যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পাওয়ার জন্য অভিবাসীদের সমাজে অবদান রাখার প্রমাণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। সোমবার লেবার পার্টির সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ সময় অভিবাসীদের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে হলে কিছু শর্তপূরণের কথাও জানান শাবানা।

বিজ্ঞাপনদেশটির রাজনীতিতে অভিবাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। উগ্র ডানপন্থী ও অভিবাসনবিরোধীদের উত্থান দেখা যাচ্ছে দেশটিতে। এমনকি নাইজেল ফারাজের ডানপন্থী রিফর্ম ইউকে দলের জনপ্রিয়তাও বেড়ে চলেছে।

সম্প্রতি দলটি বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে স্থায়ী বসবাসের অনুমতির প্রথা বাতিল করবে। তার বিপরীতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। তারা বলছে, এর মধ্য দিয়ে রিফর্ম ইউকে এবং লেবার পার্টির মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সরকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষিত এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো নিট মাইগ্রেশন কমিয়ে আনা, সমাজে অভিবাসীদের কার্যকর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং সরকারি পরিষেবার ওপর চাপ কমিয়ে আনা।

প্রস্তাবিত এই মডেল অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে হলে অন্তত ১০ বছর আইনগতভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই সময়সীমা মাত্র পাঁচ বছর। আয়ের সীমা এবং সমাজে অন্তর্ভুক্তির নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণের ভিত্তিতে এই সময়সীমা কমানো হতে পারে।

যারা নিয়ম ভঙ্গ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে অথবা আবেদন সরাসরি বাতিল করা হতে পারে। স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার জন্য প্রস্তাবিত শর্তগুলো হলো, কাজে নিযুক্ত থাকা, ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সে নির্দিষ্ট পরিমাণে অবদান রাখা, সরকারি ভাতা গ্রহণ না করা, উচ্চমানের ইংরেজি ভাষা শেখা, অপরাধের কোনো রেকর্ড না থাকা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকা।

পরিকল্পনাটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ জনমতের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তখন সাধারণ মানুষ এ প্রসঙ্গে নিজেদের মতামত দিতে পারবেন। শাবানা মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, শুধু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করাই চ্যালেঞ্জ নয়, বরং দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখে বৃহত্তর ব্রিটেন গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং যুক্তরাজ্যে অভিবাসন পরিস্থিতিই ছিল তার বক্তব্যের প্রধান বিষয়। সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য যা কিছু করা দরকার তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে ইন্টার মিলানের জয় Oct 01, 2025
img
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা নেতাদের প্রশংসায় প্রধান উপদেষ্টা Oct 01, 2025
img
টানা ছুটিতে বিশেষ ট্রেন চালু, চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত Oct 01, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিবেকের মন্তব্য Oct 01, 2025
img
ডিসেম্বরের মধ্যে ২টি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস Oct 01, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর Oct 01, 2025
img
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি অন্তত ২৬ Oct 01, 2025
img
আজ থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু Oct 01, 2025
img
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে গুতেরেসের সমর্থন, সব পক্ষকে অঙ্গীকারে আহ্বান Oct 01, 2025
img
সাতক্ষীরায় সার মজুত রাখায় ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা Oct 01, 2025
img
রাজধানীতে রাতভর বৃষ্টিতে সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতা Oct 01, 2025
img
পিসিবির উচিত ভারতের বিপক্ষে আর না খেলা: কামরান আকমল Oct 01, 2025
img
উত্থান পশ্চিমায়, প্রকৃতি বিরূপ হলে ড. ইউনূসের পতনও সেখানে হবে : রনি Oct 01, 2025
img
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর Oct 01, 2025
img
৫৬ হাজার বর্গমাইলকে ঐক্যবদ্ধ করার ঘোষনা করেছেন তারেক রহমান Oct 01, 2025
img
বিশ্বকাপে ম্যাচ না জিতলেও কত টাকা পাবে জ্যোতিরা? Oct 01, 2025
img
‘হাসিনার আমলে আলেম-ওলামারা দাড়ি রাখতে, টুপি পরতেও ভয় পেত’ Oct 01, 2025
img
পুলিশ আইনের বাইরে গেলেই ঝামেলা হবে : মোস্তফা ফিরোজ Oct 01, 2025
img
এবার ক্রিকেটে বিনিয়োগ করছে সৌদি, আয়োজন করা হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ Oct 01, 2025
img
নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানিতে ফিফাকে ছাড়িয়ে গেল আইসিসি Oct 01, 2025