ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে গুতেরেসের সমর্থন, সব পক্ষকে অঙ্গীকারে আহ্বান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনায় সব পক্ষকে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র জানান, ‘গাজা ও পুরো অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ও টেকসই শান্তি আনার উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস।’

গুতেরেস আরব ও মুসলিম দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সব পক্ষ চুক্তিতে সম্মত হয়ে তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত এই সংঘাতের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক দুর্দশা লাঘব করা।’

বিবৃতিতে গুতেরেস আবারও আহ্বান জানান:

- তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির,

- গাজায় অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার,

- সব জিম্মির নিঃশর্ত ও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার,

- এবং এমন পরিবেশ তৈরির, যা দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ জানায়, তারা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলসহ গোটা অঞ্চলের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আরও আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চলমান সব প্রচেষ্টার পাশে আছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তার ২০-দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

এই পরিকল্পনায় রয়েছে:

- ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে বহু ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি

- হামাসের নিরস্ত্রীকরণ

- গাজা শাসনে একটি নির্দলীয়, প্রযুক্তি-নির্ভর ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কমিটি গঠন

- এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজেরর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অব্যাহত বোমাবর্ষণ গাজাকে প্রায় বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি ও আল-আরাবিয়া

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে স্কটিশ এমপি ফয়সল চৌধুরী বরখাস্ত Oct 01, 2025
img
৭ মামলায় জামিন নিয়ে ভারতে পালাল আ.লীগ নেতা, তদন্তের দাবি বিএনপির Oct 01, 2025
img
লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে সহজ জয় পেল ইন্টার মিলান Oct 01, 2025
img
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা নেতাদের প্রশংসায় প্রধান উপদেষ্টা Oct 01, 2025
img
টানা ছুটিতে বিশেষ ট্রেন চালু, চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত Oct 01, 2025
img
ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিবেকের মন্তব্য Oct 01, 2025
img
ডিসেম্বরের মধ্যে ২টি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস Oct 01, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর Oct 01, 2025
img
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি অন্তত ২৬ Oct 01, 2025
img
আজ থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু Oct 01, 2025
img
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে গুতেরেসের সমর্থন, সব পক্ষকে অঙ্গীকারে আহ্বান Oct 01, 2025
img
সাতক্ষীরায় সার মজুত রাখায় ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা Oct 01, 2025
img
রাজধানীতে রাতভর বৃষ্টিতে সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতা Oct 01, 2025
img
পিসিবির উচিত ভারতের বিপক্ষে আর না খেলা: কামরান আকমল Oct 01, 2025
img
উত্থান পশ্চিমায়, প্রকৃতি বিরূপ হলে ড. ইউনূসের পতনও সেখানে হবে : রনি Oct 01, 2025
img
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর Oct 01, 2025
img
৫৬ হাজার বর্গমাইলকে ঐক্যবদ্ধ করার ঘোষনা করেছেন তারেক রহমান Oct 01, 2025
img
বিশ্বকাপে ম্যাচ না জিতলেও কত টাকা পাবে জ্যোতিরা? Oct 01, 2025
img
‘হাসিনার আমলে আলেম-ওলামারা দাড়ি রাখতে, টুপি পরতেও ভয় পেত’ Oct 01, 2025
img
পুলিশ আইনের বাইরে গেলেই ঝামেলা হবে : মোস্তফা ফিরোজ Oct 01, 2025