ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ায় পাচার হতে যাওয়া ৯২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনাল এলাকা থেকে কচ্ছপগুলো জব্দ করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মালয়েশিয়াগামী যাত্রী মোহাম্মদ শওকত আলী ভূঁইয়ার লাগেজ স্ক্যানিং করার সময় সেখানে কচ্ছপসদৃশ বস্তু শনাক্ত হয়। এরপর বিমানবন্দর নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ তাকে ডাক দিলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণী ইউনিটকে খবর দেয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্যপ্রাণী ইউনিট যৌথভাবে লাগেজগুলো পরীক্ষা করে। এতে একটি সবুজ রঙের লাগেজ থেকে ১৪৫টি স্টার টরটয়েজ (Star Tortoise) এবং একটি নীল রঙের লাগেজ থেকে ৭৮০টি কড়িকাইট্টা (Indian Roofed Turtle) উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলোর ওজন ৫৮ কেজি।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীগুলো বন অধিদপ্তরের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং একইসঙ্গে পাচারকারী মোহাম্মদ শওকত আলী ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
তিনি বলেন, দেশে যতগুলো কচ্ছপের প্রজাতি রয়েছে, নানা কারণে তার সবগুলোর অস্তিত্বই কমবেশি হুমকির মুখে। প্রাণীটি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর অনুযায়ী কচ্ছপ সংরক্ষিত প্রাণী। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিসাধন করা ২০১২ এর ধারা ৬ এবং ৩৪(খ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এমআর/টিকে