পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। এদিকে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
সরকারের কাঠামোগত সংস্কার ও জনগণের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির (জেএএসি) সাধারণ ধর্মঘটের তৃতীয় দিন বুধবার (১ অক্টোবর) সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানান কর্মকর্তারা।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আজাদ কাশ্মীরের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অন্যদিকে ধীর কোট ও অন্যান্য এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আজাদ সরকার জানিয়েছে, সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য ৯ জন নিহত এবং ১৭২ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
বুধবার আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেয় হাজার হাজার মানুষ। এদিকে একই দিন শান্তি মিছিল বের করে সরকারপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠী মুসলিম কনফারেন্স। সেই শান্তি মিছিলটি মুজাফফরাবাদের নীলম ব্রিজের কাছাকাছি এলে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় তাদের।
গুলাম মুস্তফা নামের এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী জানিয়েছেন, নীলম ব্রিজ এলকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির নেতাকর্মীরা। ন্যাশনাল কনফারেন্সের শান্তি মিছিল ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিল থেকে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির বিক্ষোভকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া শুরু হয়।
এ সময় গুলির আঘাতে গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোহাম্মদ সুধির নামের এক ক্রোকারি ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পর ন্যাশনাল কনফারেন্স ও আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হকের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিক ফজল চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ৯০ ভাগ দাবি ইতিমধ্যেই মেনে নেয়া হয়েছে। এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা দায়িত্ব নিয়েছেন।
এমকে/এসএন