‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ত্রাণবাহী জাহাজ আটকে জামায়াতের ক্ষোভ, নিরাপত্তা বিধানের আহ্বান

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় দখলদার ইসরায়েলের ন্যক্কারজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ত্রাণবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা বিধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ নিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় প্রায় ৭০ হাজার নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষ ও রোগব্যাধি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে হাজার হাজার নারী-শিশুর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি, ইসরায়েল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ১৩টি ত্রাণবাহী নৌযান এবং সেখানে থাকা বহু মানবাধিকার কর্মীকে আটক করেছে। অথচ এই নৌযানগুলো গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধ বহন করছিল। আমি ইসরাইলের এই অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী মানবিক সহায়তা গন্তব্যে পৌঁছাতে কাউকে বিরত রাখা যায় না। দখলদার ইসরায়েল নৌযান ও মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ইসরাইলের এ কর্মকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি নিরীহ মানুষের জীবনকে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

তিনি বলেন, মূলত দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ত্রাণবাহী জাহাজে বাধা দিয়ে তারা চরম অপরাধ সংঘটিত করেছে। এ হামলা মানবতার বিরুদ্ধে এক ঘৃণ্যতম অপরাধ।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো যাতে নিরাপদে গাজায় পৌঁছতে পারে, সেজন্য ইসরাইলের ওপর অবিলম্বে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। একইসাথে আটক মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এমসিসির নতুন সভাপতি এড স্মিথ Oct 02, 2025
img
আইপিএল নিলামে নজর কাড়বেন নিশাঙ্কা, আগ্রহী একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি Oct 02, 2025
img
গুগল ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া করলেন ৪ কোটি টাকার মামলা Oct 02, 2025
img
১২৯ রানে পাকিস্তানকে অলআউট করল বাংলাদেশ Oct 02, 2025
img
ইয়ামালের মায়ের সঙ্গে ডিনার করতে গুণতে হবে লাখ টাকা Oct 02, 2025
img
দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে দেশের জন্য মন কাঁদে সাকিবের Oct 02, 2025
img
ভারতে প্রবেশের আগে যাত্রীদের পূরণ করতে হবে ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড Oct 02, 2025
img
রাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, সৌম্য এখনও দেশে Oct 02, 2025
img
ড. ইউনূস কখনোই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন না: ডা. জাহেদ উর রহমান Oct 02, 2025
img

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে Oct 02, 2025
img
সিলেটে স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল হবে : ডিসি সারওয়ার Oct 02, 2025
img
কক্সবাজার সৈকতে চলছে প্রতিমা বিসর্জন, পর্যটকের ঢল Oct 02, 2025
img
শনিবার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ফিনল্যান্ড কমিউনিটির মতবিনিময় সভা স্থগিত Oct 02, 2025
img
একটি দল স্বাধীনতাসংগ্রাম নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করছে : টুকু Oct 02, 2025
img
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর বিসিবি নির্বাচনের পুনঃসূচি ঘোষণার আহবান Oct 02, 2025
img
বিমানবন্দরের ঘটনায় এনসিপির দুঃখ প্রকাশ Oct 02, 2025
img
নওগাঁয় ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল ইউপি চেয়ারম্যানের Oct 02, 2025
img
পাকিস্তানের ইতিহাস-ভূগোল বদলে দেয়ার হুমকি ভারতের! Oct 02, 2025
img
এনসিপিকে বেগুন-বালতিসহ ৫০ প্রতীকের অপশন দিলো ইসি Oct 02, 2025
img
সাংবাদিকদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের আচরণ খতিয়ে দেখছে এনসিপি, প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা Oct 02, 2025