ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে বাধা দেওয়ার খবরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) রাত থেকেই সড়কে নেমেছেন ইতালি, স্পেন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়ামের ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা।
বুধবার সন্ধ্যার পর ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৩টি নৌযানের মধ্যে ১৩টিকে আটকে দেয় ইসরায়েলের নৌবাহিনী। আটক এসব নৌযান এবং সেখানে থাকা ২ শতাধিক ক্রু ও স্বেচ্ছাসেবীকে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তুরস্ক, স্পেন ও ইতালি তাদের নাগরিকদের সুরক্ষায় নৌযান ও ড্রোন পাঠায়। তবে শুরু থেকেই ইসরায়েল সতর্ক করে আসছিল যে ফ্লোটিলা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছে এবং অবরোধ ভঙ্গ করছে। ইসরায়েল বিকল্প নিরাপদ পথে ত্রাণ পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছিল।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করে। তারা অভিযোগ করে, ইসরায়েল নিরীহ মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
কোলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো আটক দুই কোলম্বিয়ানের মুক্তি দাবি করেন। তিনি একে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সব কূটনৈতিক কর্মকর্তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেন এবং দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, আট মালয়েশীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। ‘একটি মানবিক মিশনকে আটকে দিয়ে ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনিদের অধিকার নয়, বরং গোটা বিশ্বের বিবেককে অপমান করেছে।’ এদিকে, এই আটকের ঘটনায় ক্ষোভে ফঁসছে পুরো মালয়েশিয়া।
ইএ/টিকে