ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের ওপর ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মানবাধিকার সংগঠন কমিউনিটি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে ৩৬ জুলাই ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রদল ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামি বলেন, আমরা আজকে মানবতার দাবি জানিয়ে দাঁড়িয়েছি। গাজার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০টি ত্রাণবাহী জাহাজ যাওয়ার পথে ইসরায়েলি সৈন্যরা প্রায় ২০০ জন মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টকে আটক করে।
এতে করে গাজার মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফিলিস্তিন জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া মনে হয় জাতিসংঘসহ সব সংগঠনের উদ্দেশ্য। তারা বারবার বৈঠকের নামে কালক্ষেপণ করছে, কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বিশ্বের নেতৃস্থানীয় নেতাদের প্রতি গাজায় হামলা বন্ধ ও সব সাহায্য পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
সংহতি জানিয়ে ফারজানা লিপি বলেন, আমরা আজকে এমন এক সময় দাঁড়িয়েছি যখন ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করে ফেলা হচ্ছে। মুসলমানদের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে ফিলিস্তিন। অথচ আজকে অপবিত্র একটি গোষ্ঠী সেখানে দখল নিয়ে আমাদের ভাইবোনদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
লিপি বলেন, বিশ্বে অনেক মুসলিম জাতিগোষ্ঠী আছে।
কিন্তু তারা কেউ কোনো প্রতিবাদ জানাচ্ছে না। অন্যদিকে অনেক অমুসলিম দেশ মানবিকতা প্রদর্শন করে তারা গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে আমাদের বাংলাদেশের শহীদুল ইসলাম নামে একজন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক আছেন। সবার উচিত তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুত গাজার মানুষদের বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
বি এম কাউসার বলেন, ইসরায়েল নির্বিচারে আমাদের অনেক ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। তারা একদিকে মানুষ মারতেছে আবার জাতিসংঘে গিয়ে অন্য কথা বলতেছে।
অথচ, আমাদের মধ্যে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমাদের উচিত ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়ে জোর দাবি জানিয়ে কথা বলা।
আইকে/টিএ