বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে দ্বীপের স্লুইস গেট বন্ধ রাখায় দেড় শতাধিক বাড়িঘর পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল।
পরে ভাটা হলে পানি নামতে শুরু করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম মেম্বার জানান, দুদিন টানা ভারী বৃষ্টি হলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব-পশ্চিম ও মাঝের পাড়া এবং নজরুল পাড়া এবং কোনাপাড়া পানি জমে প্রায় এক-দেড় শতাধিক বাড়িঘরের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে ভাটা শুরু হলে পানি আস্তে আস্তে নামতে শুরু করে।
তিনি আরও জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র মেইন স্লুইস গেট ও পাঁচটি কালভার্ট সংস্কার না হওয়ার কারণে পানি জমে গেলে সেগুলো দ্রুত সাগরে নেমে যেতে পারে না। দ্বীপে ভারী বৃষ্টি হলে এবং কোনো বৈরী আবহাওয়ায় সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় পানি ঢুকলে তা সহজে দ্বীপ থেকে নেমে যেতে পারে না। স্লুইস গেট ও কালভার্টগুলো জরুরি সংস্কার করা প্রয়োজন। তা নাহলে এ সমস্যা থেকে যাবে।
সেন্টমার্টিনের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, বৈরী আবহাওয়া খারাপ দেখা দিলে সাগর উত্তাল থাকায় ১ অক্টোবর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। সেজন্য আপাতত এ নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টি ও সাগর উত্তালের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় চালু করা হবে।
তিনি আরও জানান, ভারী বৃষ্টি দ্বীপের কয়েকটি গ্রামে পানি জমে গিয়ে কিছু ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়। জোয়ারের পানি নেমে গিয়ে ভাটা শুরু হলে পানি কমতে শুরু করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এমকে/এসএন