আগের দিন নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে যাওয়া রফিকুল ইসলামকে গতকাল আবার বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হতে দেখে অনেকেই ভাবলেন তিনি সিদ্ধান্ত বদলেছেন বোধহয়। সেই সুযোগও ছিল, কারণ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার নিচে নির্বাচন কমিশন এই ফুটনোটও জুড়ে দিয়েছিল যে মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীরা নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে থাকলে সেটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জানাতে পারবেন। তবে ঢাকার ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল জানালেন, সে রকম কিছু নয়। বরং বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ‘চা খেতে’ এসেছিলেন তিনি।
নিজামকে না পেয়ে চলে যাওয়ার আগে রফিকুল সংবাদমাধ্যমে তিনটি প্রস্তাব রেখে যান, যার মধ্যে আছে বিসিবির ৬ অক্টোবরের নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাবও।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করার এক দিন পরই রফিকুল ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ‘ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক’ উল্লেখ করে তাঁকেই মূলত প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন, ‘এই দাবিগুলো ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে জানাতে চাই। উনি যথাযথ সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত নেবেন, যেটির মাধ্যমে ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’ তাঁর তিনটি প্রস্তাব এ রকম মেয়াদ বাড়িয়ে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকেই আরো কিছুদিন কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া, সম্ভব হলে অ্যাডহক কমিটি গঠন এবং নির্বাচন পিছিয়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা।
এই মুহূর্তে অনুপস্থিত যোগ্য সংগঠকরা যাতে অংশ নিতে পারেন, নির্বাচন পেছানোর জন্য এটিও একটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন রফিকুল।