ভাষাসংগ্রামী, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মরদেহ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাঁর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
নেতারা বলেন, দেশের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন আহমদ রফিক তা অনন্য। তার সেই অবদানগুলোকে ধারণ করে আগামীর দিনগুলো চলার প্রত্যয় জানান তারা।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আহমদ রফিকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এই ভাষা সৈনিকের নামে গড়ে ওঠা রফিক ফাউন্ডেশন জানায়, আহমদ রফিকের কফিন শোকযাত্রার মাধ্যমে ওই হাসপাতালে নেয়া হবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য আহমদ রফিক তার মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, আলঝেইমার্স রোগ, পারকিনসন্স রোগ, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, বেডশোর, ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি।
জীবদ্দশায় তিনি প্রকাশ করেছেন প্রায় অর্ধশত গ্রন্থ, যার মধ্যে রয়েছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক গ্রন্থ, রয়েছে রবীন্দ্রনাথের ওপর গবেষণা গ্রন্থ, ছোটগল্প, কবিতা, চিকিৎসাবিষয়ক বিভিন্ন সংকলন সম্পাদনা। রফিক সম্মানিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারে, একুশে পদকে, কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে।
আইকে/টিএ