নিউ ইংল্যান্ড রেভোলিউশনের বিপক্ষে ৪-১ গোলে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয়ার পথে নতুন ইতিহাস গড়লেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। এ ম্যাচে তিনটি অ্যাসিস্ট করে চলতি এমএলএস মৌসুমে তার গোল কন্ট্রিবিউশনের সংখ্যা ৪১-এ (২৪ গোল ও ১৭ অ্যাসিস্ট) নিয়ে গেছেন। এই মাইলফলক স্পর্শ করে মেসি এমএলএসের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে কমপক্ষে ৪০টি গোল কন্ট্রিবিউশপ্নের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করলেন। এর আগে একমাত্র কার্লোস ভেলা ২০১৯ সালে এলএএফসির হয়ে ৪৯টি (৩৪ গোল, ১৫ অ্যাসিস্ট) গোল কন্ট্রিবিউশনের রেকর্ড গড়েছিলেন।

নিউ ইংল্যান্ড রেভোলিউশনের রক্ষণভাগের ওপর ইন্টার মায়ামির আধিপত্য ছিল মূলত মেসির প্লে-মেকিংয়ের সৌজন্যে। ম্যাচের প্রথম গোলেই ছিল ‘গোট’ এর অবদান। ৩২ মিনিটের মাথায় তার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে স্কোরিং শুরু করেন তাদেও আলেন্দে।
এরপর প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে, বক্সের মধ্যে চমৎকার ড্রিবলিংয়ে সাবেক বার্সা সতীর্থ জর্ডি আলবাকে খুঁজে নেন মেসি। সেই ক্লাসিক সংযোগে মায়ামির ব্যবধান হয় দ্বিগুণ।
৫৯ মিনিটে ডর তুর্গেমান একটি গোল করে অতিথিদের ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দিলেও মায়ামি জবাব দিতে সময় নেয়নি। মাত্র এক মিনিতের মাথায় আলেন্দেকে দিয়ে দ্বিতীয় গোল করান মেসি। এতে পূর্ণ হয় মেসির অ্যাসিস্টের ‘হ্যাটট্রিক’। এরপর আলবাও নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করলে স্কোরলাইন হয় ৪-১।
কার্লোস ভেলার রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মেসির সামনে এখনো দুই ম্যাচ বাকি। এদিকে, মেসির মায়ামি ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। শীর্ষ চারে থাকতে পারলে অডি ২০২৫ এমএলএস কাপ প্লে-অফ রাউন্ড ওয়ানের সেরা-৩ সিরিজে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিশ্চিত হবে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী শনিবার, আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে হোম ফাইনাল।
টিজে/টিকে