এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হচ্ছিল না। অতঃপর পরপর দুই ম্যাচে হলো দুইটা। গতকাল বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে এবারের এনসিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন নামের সঙ্গে টেস্টের ট্যাগ লেগে যাওয়া ঢাকা মহানগরের সাদমান ইসলাম। আজ যিনি সেঞ্চুরি করলেন, সেই মাহমুদুল হাসান জয়ের নামের সঙ্গেও বড় ফরম্যাটের ট্যাগ। চট্টগ্রাম বিভাগের এই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে উড়ে গিয়েছে সিলেট বিভাগ।
১৮টি টেস্ট খেলা জয়ের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটিই প্রথম শতক। ৬৪ ম্যাচে আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল অপরাজিত ৮৫। আজ ৬৫তম ম্যাচ খেলতে নেমে করলেন ১১০ রান। ৬৩ বলের ইনিংসটি ৫টি চার ও ৯টি ছয়ের মারে সাজান তিনি।
জয়ের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ পাওয়া চট্টগ্রাম সিলেটকে গুটিয়ে দিয়েছে মাত্র ১১৫ রানে। তাতে ৯৯ রানের বড় জয় পেয়েছে তারা। এবারের এনসিএলে রানের হিসাবে এটা সবচেয়ে বড় জয়, আগের বড় জয়টি ওই সাদমানের সেঞ্চুরির ম্যাচে। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বরিশালের বিপক্ষে মহানগর জিতেছিল ৯৬ রানে।
বড় ইনিংস খেলে জয় লাফ দিয়েছেন রানসংগ্রাহকদের তালিকায়, চট্টগ্রাম দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলে। জয় চলে গিয়েছেন রানসংগ্রাহকদের তালিকায় সবার শীর্ষে, ৫ ম্যাচে প্রায় ১৭০ স্ট্রাইকরেটে ২৭৬ রান করেছেন তিনি। ২০৮ রান নিয়ে দুইয়ে রাজশাহীর হাবিবুর রহমান। চট্টগ্রাম ৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠেছে টেবিলের শীর্ষে।
সিলেটে মুমিনুল হককে নিয়ে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন জয়। মুমিনুল ১৯ বলে ৩২ রান করে ফিরলে শাহাদাত হোসেন দিপু ও সাদিকুর রহমানরা জয়কে সঙ্গ দিতে পারেননি। ইরফান শুক্কুরের দারুণ সঙ্গের পর তোফায়েল আহমেদের ওভারে জয় আউট হন দলকে ২০৬ রানে রেখে। শুক্কুর নিজেও একই ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ২২ বলে তিনি করেন ৪১ রান।
জবাব দিতে নামা স্বাগতিক দলের মাত্র দুজন বিশের ঘর পার হতে সক্ষম হন ওপেনিংয়ে নামা অমিত হাসান ২৫ বলে ৪০ ও ৯ নম্বরে নামা আবু জায়েদ ২৫ বলে ৩৭ রান করেন। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিলেটের হারটা হয়েছে বড় ব্যবধানে। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৪।
এসএস/টিএ