প্রয়োজনে বৃহত্তর রংপুরকে অচল করে দিতে বাধ্য হবো : আসাদুল হাবিব দুলু

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল অচলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে পদযাত্রা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পাড়ের ১১টি পয়েন্টে লাখ লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। সেই জমায়েতের মাধ্যমে রংপুরের দুই কোটি মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল, অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হোক। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মাঝে মাঝে বলছেন যে, কাজ শুরু হবে। কিন্তু কবে, কীভাবে শুরু হবে সে বিষয়টি আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে আবারও আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছি। আজকে পাঁচ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। ৯ অক্টোবর প্রতিটি উপজেলায় গণমিছিল ও সমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর তিস্তার অববাহিকায় ১৩০ কিলোমিটার জুড়ে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে।

এরপরেও যদি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু না হয় তাহলে আরও লাগাতার কর্মসূচি দেব। প্রয়োজনে বৃহত্তর রংপুরকে অচল করে দিতে বাধ্য হবো।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব কোষাগার থেকে প্রস্তাবিত দুই হাজার ৪১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানিয়ে দুলু বলেন, জানুয়ারিতে নির্বাচনের প্রাক্কাল। সেসব তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। নির্বাচন ঘিরে অনেক ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে। আমাদের অভ্যন্তরীণ যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে যদি তারা সেটা থেকে তফসিল ঘোষণার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দেয় তাহলে তো আমরা আশ্বস্ত হতে পারি। আমাদের এখন এটাই দাবি। যত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে ততই আমরা আশ্বস্ত হয়ে উঠতে পারি।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন এবং রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে? Oct 05, 2025
img
মুলা, বেগুন মার্কা নির্বাচন কমিশনের রুচিবোধের প্রকাশ: সারজিস Oct 05, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে Oct 05, 2025
img

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে

নির্বাচনের দিন গণভোট চায় বিএনপি ও এনসিপি, আগে চায় জামায়াতে ইসলামী Oct 05, 2025
img
গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে অপূর্ব পালকে Oct 05, 2025
img
মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে ডিএসইর বিশেষ বার্তা Oct 05, 2025
img

বিসিবি নির্বাচন

রাতের ভোটকে হার মানিয়ে ফেলেছে, বললেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো রেদুয়ান Oct 05, 2025
img
খালাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন, স্বীকার করলেন পরীমনি Oct 05, 2025
img
গণমাধ্যমের সঙ্গে ইসির সংলাপ সোমবার Oct 05, 2025
খেলাপি ঋণে ফাঁসছেন গ্যারান্টররা Oct 05, 2025
'জোর করে ইসরায়েলের পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়েছে থুনবার্গকে' Oct 05, 2025
রাজনৈতিক আঁতাতে উপদেষ্টাদের বিশ্বাসঘাতকতা: উদ্বিগ্ন নাহিদ ইসলাম Oct 05, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধসে প্রাণহানীর সংখ্যা বেড়ে ৪৫ Oct 05, 2025
img
জয়ের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামের বিশাল জয়, বিদায় সিলেটের Oct 05, 2025
চাকসু নির্বাচন নিয়ে যেসব তথ্য জানালেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব Oct 05, 2025
img
৩০ লাখের চাকরি ছেড়েছিলেন ‘ব্যাডস অব বলিউড’ তারকা! Oct 05, 2025
img
গ্রেপ্তারের সময় পরিচয়পত্র থাকতে হবে পুলিশের Oct 05, 2025
img
মহাসমারোহে বিয়ে করতে চান টেইলর সুইফট Oct 05, 2025
img
দুর্গাপূজার কার্নিভ্যালে জয়া আহসানকে অতিথি করায় বিক্ষোভ করে বিজেপি Oct 05, 2025
img
অনেক উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন, তাদের নাম প্রকাশ করা হবে: নাহিদ Oct 05, 2025