ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে সাওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ছয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
রোববার (৫ অক্টোবর) গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কীভাবে এ আগুন লাগে, তা নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দমকলের দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের ইনচার্জ চিকিৎসক অনুরাগ ধাকড় জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় নিউরো আইসিইউ বিভাগে ১১ জন রোগী ছিলেন। ট্রমা কেয়ারের একটি গুদামঘর থেকে আগুন শুরু হয়ে দ্রুত আইসিইউতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ছয় রোগীর মৃত্যু হয়- চারজন পুরুষ ও দুইজন নারী। বাকিদের নিরাপদে সরিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন- সিকরের বাসিন্দা পিন্টু, জয়পুরের দিলীপ, ভরতপুরের শ্রীনাথ, রুক্মিণী, খুরমা ও সাঙ্গনার এলাকার বাহাদুর।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরদিন সোমবার সকালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং বেধাম বলেন, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছি। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে আহতদের চিকিৎসা ও দ্রুত সুস্থ করে তোলাই এখন আমাদের অগ্রাধিকার।
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষুব্ধ রোগীদের স্বজনরা। হাসপাতেলে মন্ত্রীদের দেখে তারা ক্ষোভে ফেটেপেড়েন। তাদের অভিযোগ, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যান এবং উদ্ধারকাজে সহায়তা করেননি।
অগ্নিকাণ্ডে হাসপাতালের বহু সরঞ্জাম ও নথি পুড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা রোগীদের উদ্ধারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
বিকাশ নামের এক হাসপাতাল কর্মী বলেন, আমরা অপারেশন থিয়েটারে ছিলাম। আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুতছুটে গিয়ে তিন-চারজন রোগীকে উদ্ধার করতে পারি। কিন্তু দ্রুত আগুন ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় ভেতরে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসছে, কিন্তু ধোঁয়ার কারণে কেউ ভেতরে ঢুকতে পারেননি।
টিজে/টিকে