ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় তারকা থেকে চলচ্চিত্রের পর্দায় পা রাখা শুরু করেছেন প্রজক্তা কোলি। তিনি তার মারাঠি চলচ্চিত্র ‘ক্রান্তিহোতি বিদ্যা মারাঠি মহ্যম’ দিয়ে মারাঠি সিনেমায় অভিষেক করতে যাচ্ছেন। প্রাজক্তা তার এই নতুন যাত্রাকে কেবল আরেকটি প্রকল্প হিসেবে দেখেননি, বরং এটিকে নিজ সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করছেন।
প্রাজক্তা জানান, মারাঠি ভাষা তার মাতৃভাষা এবং বাড়িতে যে ভাষায় কথা বলেন, সেটিই তার চলচ্চিত্রে কাজ করার আনন্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি সত্যিই নিজের মূলের সঙ্গে ফিরে আসার মতো। আমি সবসময় একটি মারাঠি চলচ্চিত্র করতে চেয়েছি, কিন্তু এমন কিছু চাইছিলাম যা নিরাপদ, উত্তেজনাপূর্ণ এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করায়।”
তিনি ইন্টারনেট বিপ্লবকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে ভাষাগত সীমা অতিক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রজক্তা বলেন, “প্রতিটি ভাষার গল্প এখন রাজ্য এবং দেশের বাইরে মানুষ পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের ছবির মূল ভাবনা সর্বজনীন, যা যে কোনো দর্শকের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবে।” তিনি এই পরিবর্তনের জন্য দর্শকদেরকেই দায়ী করেছেন, যাদের চাহিদা আঞ্চলিক গল্প বলার প্রবণতাকে আরও প্রসারিত করেছে।
ইউটিউব থেকে মেইনস্ট্রিম সিনেমায় উত্তরণের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রজক্তা বলেন, “আমি ২০১৯ সালে ‘মিসম্যাচড’ দিয়ে অভিনয় শুরু করি, আর এখনও শিখছি। কিন্তু এই চলচ্চিত্রটি বিশেষ এখানে সবাই মারাঠিতে কথা বলেছে; তা মুহূর্তে আমাকে বাড়ির মতো অনুভব করিয়েছে।”
তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নারীদের চরিত্রের প্রগতিশীল চিত্রায়নের জন্যও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “নারী চরিত্রের সুযোগ এখন আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে শক্তিশালী, সমানাধিকার সম্পন্ন এবং প্রাসঙ্গিক নারী চরিত্র লিখে ফেলা হচ্ছে।” প্রাজক্তার জন্য ‘ক্রান্তিহোতি বিদ্যা মারাঠি মহ্যম’ কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি তার সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং শৈল্পিক উন্নতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধার প্রতিফলন।
এমকে/টিকে