চাকরি থেকে অবসরের মাত্র তিন মাস আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপাচার্যের ভগ্নিপতিসহ তিন কর্মকর্তাকে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি উপ-রেজিস্ট্রার ও দুটি উপ-পরিচালক পদে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। অবসরের পথে থাকা পছন্দের কর্মকর্তাদের তড়িঘড়ি দেওয়া এই নিয়োগ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের ভগ্নিপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান, উপ-পরিচালক কাজী আবু খালিদ এবং উপ-পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান। নতুন নিয়োগ পাওয়ার আগে আব্দুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী রেজিস্ট্রার এবং কাজী আবু খালিদ ও সৈয়দ মিজানুর রহমান সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
চাকরিজীবন শেষে আগামী ১৩ ডিসেম্বর আবদুর রহমান, ১৬ ডিসেম্বর সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজী আবু খালিদের অবসরে যাওয়ার কথা। সেই হিসেবে আব্দুর রহমানের চাকরির মেয়াদ রয়েছে দুই মাস ২২ দিন, সৈয়দ মিজানুর রহমানের দুই মাস ২৫ দিন এবং কাজী আবু খালিদের চার মাস ২৪ দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবসরে যাওয়ার মাত্র তিন মাস আগে তারা নিয়োগ পাওয়ায় অবসরজনিত বাড়তি সুবিধা পাবেন, যা সরকারের আর্থিক ক্ষতি বাড়াবে। পাশাপাশি পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় ও প্রশাসনিক ব্যয় বাড়বে।
বাংলাদেশ সার্ভিস রুল বিধি ২৫৮-তে বলা হয়েছে, নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত পূরণ না করলে কোনো চাকরিকে পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এর মধ্যে অন্যতম হলো নিয়োগ নিয়মিত ও স্থায়ী না হলে তা পেনশনযোগ্য হবে না।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের অবেক্ষাধীনকাল হবে দুই বছর।
ইউটি/টিকে