বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে রিটার্নিং কমিশনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ভুল ধরা পড়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, অন্য কোনো জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য বা কর্মকর্তা বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হতে পারেন না। কিন্তু এবারের বিসিবি নির্বাচনে সেই শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া বক্সিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অথচ তিনি বিসিবির পরিচালক হয়েছেন। আরেক পরিচালক ইশতিয়াক সাদেক বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনিও এবার বিসিবির ২৫ পরিচালকের একজন। যা বিসিবির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২(গ) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ পরিষদের কোনো সদস্য যদি একাধিক জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তা বা সদস্য হন, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।’
সেই নিয়ম অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন এ দুই প্রার্থী। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া বর্তমান বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। অন্যদিকে, সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত পরিচালক ইশতিয়াক সাদেক বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, রিটার্নিং কমিশন কীভাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এমন তথ্য উপেক্ষা করল? নির্বাচনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গঠনতন্ত্রের প্রয়োগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গনে।
টিজে/এসএন