লেবাননে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের

লেবাননে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। উন্নয়নের বিনিময়ে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে লেবানিজ সরকারকে উৎসাহিত করতে চায় ওয়াশিংটন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল-লেবানন দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব সমাধানের পরিবর্তে তা এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ইরানপন্থি সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে সরকারকে উৎসাহিত করতে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেপ্টেম্বরে বৈরুত সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত টম ব্যারাক প্রথমে এই ধারণাটি উত্থাপন করেন। যা একটি সহজ দর কষাকষির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। অর্থাৎ, উন্নয়নের বিনিময়ে নিরাপত্তা।

পরিকল্পনায় স্পষ্ট সীমানাসহ একটি সার্বভৌম অঞ্চল, লেবানিজ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে শাসন, প্রতিটি পদক্ষেপে পূর্বশর্ত হিসেবে সুরক্ষা, বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক গ্যারান্টি এবং পর্যায়ক্রমে অর্থায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি'এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যকে প্রণোদনার একটি ভূদৃশ্য হিসেবে বিবেচনা করে ট্রাম্প প্রশাসন। যেখানে দ্রুত বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিকল্পনাটি সঠিক হলেও এটি লেবাননের ঐতিহাসিক স্মৃতি, নিরাপত্তা, মর্যাদা, সার্বভৌমত্বের সাথে সাংঘর্ষিক। তাছাড়া, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের সংঘাত সমাধানের পরিবর্তে এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কোনও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল টেকসই উন্নয়নের মঞ্চ হতে পারে না।

এদিকে, গাজায় আগ্রাসন এবং সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায়, লেবাননের সাধারণ মানুষ এমন পরিকল্পনা সমর্থন করবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আরটির প্রতিবেদনে।

টিজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশ সফরের জন্য শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ক্যারিবিয়ানদের Oct 09, 2025
img
শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রয়োজন হলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত ইতালি Oct 09, 2025
img

৫ দফা দাবি

গণমিছিল ও স্বারকলিপি কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জামায়াতের Oct 09, 2025
img
সাবেরের বাসায় রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক নিয়ে জাহেদ উর রহমানের বার্তা Oct 09, 2025
img

শহীদ জেহাদ দিবসে তারেক রহমানের বাণী

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা: তারেক রহমান Oct 09, 2025
img
ঘোষণা হলো ‘এক্সট্র্যাকশন ৩’-এর মুক্তির সাল Oct 09, 2025
img
ছেলের সিরিজ নিয়ে বিপাকে শাহরুখ খান Oct 09, 2025
img
সরকারের পারফরম্যান্স আমাকে হতাশ করেছে : বাঁধন Oct 09, 2025
img
বাংলাদেশকে হারিয়েও খুশি নন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ Oct 09, 2025
img
ভিসা নীতিতে ভারতকে কোনো ছাড় দেবে না যুক্তরাজ্য: স্টারমার Oct 09, 2025
img
যতুটুক ঐকমত্য হয়েছে, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে: আমীর খসরু Oct 09, 2025
img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ Oct 09, 2025
img
মতামত সমন্বয় করে সরকারকে জানাবে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ Oct 09, 2025
img
জুবিনের চাচাতো ভাই গ্রেপ্তার, মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী Oct 09, 2025
img
ব্যারিস্টার আহসান আটকে শ্বশুরের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ আদালতের Oct 09, 2025
img
নাইজেরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে আর্জেন্টিনা Oct 09, 2025
img
এখন আর কোনো দল আমাদের হালকাভাবে নেবে না: ফাহিমা Oct 09, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের ধারণায় নীতিগত ঐকমত্যে এগিয়েছে : জিল্লুর রহমান Oct 09, 2025
img
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের Oct 09, 2025
img
ম্যারাডোনার ছেঁড়া জার্সি বিক্রির জন্য উঠছে নিলাম মঞ্চে Oct 09, 2025