রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটের ধারণায় নীতিগত ঐকমত্যে এগিয়েছে। যদিও সময় ও পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত ও দলীয় নিবন্ধন সাসপেন্ড হওয়ায় ভোট প্রক্রিয়ায় একটা বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আইনগতভাবে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত ও নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা আছে।
কিন্তু রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের চিত্র কেমন হবে এটা নির্বাচনী গ্রহণযোগ্যতার কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছে।’
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও দেশীয় রিপোর্ট দুটোতেই এ সত্য ভেসে উঠছে যে ২০২৪-২৫ পর্যায়ের উত্থান-পতনের পরিসমাপ্তি টানতে গেলে নির্বাচনকে অনিবার্যভাবে বিস্তৃত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে নির্বাচনের পর দেশের ভেতরে ও বাইরে বৈধতা আলোচনা থামবে না।
জিল্লুর বলেন, ‘দেশের ভেতরের ছবি আরো জটিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রুপরেখা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। এখানে দুই ধরনের পথচিত্র ঘুরে ফিরে আসছে।
সংবিধানগত কোনো কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা আইন কাঠামো দিয়ে সহজে রূপরেখা ঘোষণা।
তারপর জনমত যাচাইয়ের জন্য গণভোট। বিকল্পভাবে নতুন সংসদকে একযোগে আইন সভা ও সাংবিধানিক সংস্কারের দায়িত্ব দিয়ে অগ্রসর হওয়া। দুই পথেই নীতিগত কারিগরি ঝুঁকি আছে।’
জিল্লুর আরো বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন কমিশনকে এখন দ্বিমুখী কাজ করতে হচ্ছে। একদিকে আইন-শৃঙ্খলার কারচুপিবিরোধী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা অন্যদিকে আস্থার সংকট কাটাতে ভ্যালিড্যাশন প্রক্রিয়া।
এমকে/এসএন