‘প্রিয়তমা’র পরে শাকিব খানের কোনো সিনেমাই চলেনি বলে মন্তব্য করেছেন নির্মাতা ও প্রযোজক মো. ইকবাল।
এছাড়াও ‘প্রিয়তমা’ চলচ্চিত্রে যে মুনাফা এসেছে তা ‘রাজকুমার’ ছবিতে চলে গেছে- কালের কণ্ঠের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানালেন আলোচিত এই প্রযোজক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইকবাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি যা বলি সত্য বলি, আমি কোনো মিথ্যা বলি না। শাকিবের সিনেমা নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়, তা আসলে ভুয়া।
‘প্রিয়তমা’র পরে তাঁর একটা সিনেমাও চলেনি। কিন্তু তাকে নিয়ে এরপর যে ফার্স্ট ক্লাস ডিরেক্টররা ছবি বানায়, খোঁজ নিয়ে দেখেন ইউটিউব গ্রুপ, ফেসবুক গ্রুপকে টাকা দিয়ে তারা আওয়াজ তুলেছে। আসলে কিন্তু সিনেমা ব্যবসা করেনি।’’
ইকবাল আরো বলেন, ‘শাকিব খানকে নিয়ে সবাই শিওর শট খেলতে চায়।
এইজন্য ইন্ডাস্ট্রিতে ফার্স্ট ক্লাস নামে পরিচিত ডিরেক্টর হিন্দি ছবির ১০ পার্সেন্ট, তেলেগু ছবি থেকে ১০ পার্সেন্ট, তামিল ছবি থেকে ১০ পার্সেন্ট- এইভাবে কপি করে একটা সিনেমা বানায়।
তারপর প্রচার করে বিশাল কিছু বানাইছে। কিন্তু মানুষ তো বোঝে এইসব নকল। যতই আওয়াজ তুলুক, কিছু টাকা হয়তো উঠে আসে।
কিন্তু এইসব ছবি লাভের মুখ দেখে না।’
চাটুকার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কারণেই এই দেশে সেইভাবে প্রতিষ্ঠিত নায়ক তৈরি হয়নি- এমনটাই মনে করেন ইকবাল। তিনি বলেন, ‘যাদেরকে ইন্ডাস্ট্রির সবাই ফার্স্ট ক্লাস ডিরেক্টর হিসেবে চেনে, যাদের সবাই মেধাবী মনে করে এই ডিরেক্টররা চামচামি করে শাকিব খানকে ওপরে তুলে রাখে। ফলে এক নায়কের কবল থেকে চলচ্চিত্র সেভাবে বের হতে পারেনি। নাহলে আজ দেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত নায়ক থাকতো, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির এই হাল হতো না।
ইকবাল সামনে ফের অনন্ত জলিলকে নিয়ে সিনেমা বানাবেন, এরইমধ্যে একটি চলচ্চিত্রের কাজ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে জানিয়ে বললেন, ‘এখন তো দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না, আমি চলচ্চিত্র বানাবো একটু সময় নিচ্ছি। অনন্ত জলিলকে নিয়ে একটি ছবি বানাবো সেটা মোটামুটি ঠিক হয়ে আছে। আর বাকিটা একটু সময় নিয়ে করবো, পরিস্থিতি স্থিমিত হোক।’
দেশীয় চলচ্চিত্রের অনেক নায়ক এখন দেশ ছেড়ে বিদেশে রয়েছেন। এতে চলচ্চিত্রের খুব একটা ক্ষতি হচ্ছে না বলে মনে করেন ইকবাল। তিনি বলেন, ‘যারা এখন বিদেশে রয়েছে, তাদের আসলে এই দেশের চলচ্চিত্রে খুব একটা বাজার নাই। গত ১৫ বছরেও তাদের চলচ্চিত্র খুব একটা ভূমিকা রাখেনি। ফলে যারা বিদেশে আছে, তাদের কারণে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।’
শাকিব খানকে নিয়ে নতুন যে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে সেসব সিনেমার ব্যবসা নিয়েও সন্দিহান। কেননা যেখানে মণিহারের মতো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানে বিগ বাজেটের সিনেমা বানিয়ে মুনাফার মুখ দেখা কঠিন বলে ধারণা এই প্রযোজকের।