দেশের প্রায় ১৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও মনো-সামাজিক নানা কারণে মানসিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
তবে দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব এবং জনসংখ্যার অনুপাতে মনোচিকিৎসকের স্বল্পতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ সারাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জরিপ অনুসারে, দেশের প্রায় ১৯ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত, যাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। বিধাতা, মানসিক চাল এবং উন্নিয়া এর প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, হতাশা ও উদ্বেগের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হলো।
চিকিৎসকরা জানান, পারিবারিক সহিংসতা বা ব্যক্তিগত হতাশা ও বিজ্ঞাতায় ভুনলেও অনেকেই সামাজিক সন্দ্য বা ভয়ের কারণে মানসিক স্বাহ্যদেবা নিতে আগ্রহী হন না। ফলে একসময় এই সমস্যাগুল্যে মারাত্মক রোগে পরিণত হয়। জাতীয় মানসিক স্বাহ্য ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ মালী জানান, অলানা রোগের মতো মানসিক অসুস্থতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দিলো যেকোনো মানসিক রোগীকে দুহ করে তোলা সম্ভব।
দেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি বড় সংকট হলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব। জরিপ অনুযায়ী, প্রতি দুই লাখ মানুষের কয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন মাত্র একজন। বউংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম আতিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসক দলতা ও ব্যবহল চিকিৎসার কারণে বেশিরভাগ রোগীই মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, যেকোনো ধরনের বিষন্নতা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তবে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মানসিক কাউন্সিলিং অত্যন্ত জরুরি। সাভারের ১৫ বছর বয়সী সাদিয়া অন্তর্মুখী স্বভাব এবং জারণে পরিবর্তন আসার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন অলিভারকরা। হাসাপাতালে থাকলেও এখন সে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আকৃতি জানাচ্ছে।
আইকে/টিকে