এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত হিউম্যান হারমোনি কনফারেন্সে মানব সম্প্রীতি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখায় মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেলেন মালয়েশিয়ার ৫ প্রবাসী বাংলাদেশি। সামিটের এবারের আসরে বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের মোট ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানী মালের ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটরিয়ামে মানব সম্প্রীতি সম্মেলন ও অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির পরিচিত মুখ স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি কায়সার হামিদ হান্নান, প্রবাসে সাংবাদিকতায় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করায় বাংলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক সদস্য ডিবিসি নিউজ ও দেশের একটি গণমাধ্যমকেের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সিআইপি মো. সাহাবুদ্দিন, এমডি গ্লোবাল রিসোর্স এসডিএন বিএইচডির পরিচালক মো. মোশাররাফ হোসাইন, এ ছাড়া বাংলাদেশি মালয়েশিয়া মিস স্টার্স ইউনিভার্সের মুকুট বিজয়ী ও বাংলাদেশের মডেল অনন্যা আফরিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের মৎস্য ও মহাসাগর সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুথালিব। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী মানব সম্প্রীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন শিল্প ও বাণিজ্যিক শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ সাঈদ মুস্তাফা, নেপালের পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশনের সাবেক মন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখারেল, মালদ্বীপের ক্রীড়া, ফিটনেস ও বিনোদন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হোসাইন নিহাদ, ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল জালিল ইসমাইল।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু। এ সময় তিনি বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মানব সম্প্রীতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহজ ভিসা নীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
মানব সম্প্রীতি জোরদার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, পর্যটন শিল্পকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য খাতে অংশীদারি জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য দেন উপস্থিত অতিথিরা।
পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশিরা বলেন, এশিয়ার এ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা বাংলাদেশি হিসেবে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।