বিএনপি যখন আন্দোলন করে তুঙ্গে উঠে, আবার ব্যর্থ হয়ে যায়, নেতাকর্মীরা খানিকটা হতাশ হয়ে পড়ে তখন আমার বড় ভাই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের মনোবল ফেরাতে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। আমিও আজ সেই কবিতার কয়েক লাইন আবৃত্তি করে বক্তব্য শুরু করতে চাই।
এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃসময় কবিতা থেকে আবৃত্তি শুরু করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন।
‘যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে, সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গ নামিয়া,মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে, দিক্-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা-তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।’
শুক্রবার রাত ৭টায় রাজধানীর খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ঢাকাস্থ প্রায় দুই শতাধিক ঠাকুরগাঁওবাসীকে এভাবেই কবিতা আবৃত্তি করেন শোনান অনুষ্ঠানের মধ্যমণি মির্জা ফয়সল আমিন। সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির মাঝে মির্জা ফয়সল আমিনের হাসিমাখা গম্ভীর কণ্ঠে আবৃত্তি করা কবিতা উপস্থিত সবাই দারুণভাবে উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মির্জা ফয়সল আমিন উপস্থিত সবার সঙ্গে পরিচয় হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পরিচয় পর্বে তিনি সবার কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
এরপর তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তবুও তিনি মাথা নত করেননি। তিনি প্রতিনিয়ত দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন। এখন সময় এসেছে উনাকে নিয়ে ভাবার। সামনে নির্বাচন। আপনারা ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁওবাসীর কাছে বিএনপির মহাসচিব ও আমার বড় ভাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য সহযোগিতা ও দোয়া চাই। যে মানুষটা দেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়ছেন, আমার বিশ্বাস আপনারা তার পাশে থেকে সেই লড়াইয়ের মর্যাদা দেবেন।
মির্জা ফয়সল বলেন, দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। তবুও এতো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। সবার উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আগামীতে এই অনুষ্ঠান আরও বৃহৎ পরিসরে করা হবে বলে তিনি জানান।
ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রাজনীতিবিদ দেওয়ান আসাদুরজামান ফয়সাল, সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল রানা, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নবাব ও মিলনসহ আরও অনেকের আহ্বানে ঢাকাস্থ ঐক্যবদ্ধ ঠাকুরগাঁওবাসীর ব্যানারে প্রায় দুই শতাধিক সাবেক ছাত্র নেতা, ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যাংকার, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইউটি/টিকে