উয়েফার (ইউরোপ) অধীন দেশগুলো পুরোদমে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নেমেছে। একইদিন পৃথক ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও জার্মানি। দুই দলই নিজেদের ম্যাচে একপেশে দাপট দেখিয়েছে। আজারবাইজানের বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স ৩-০ এবং জশুয়া কিমিচের জোড়া গোলে জার্মানি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লুক্সেমাবার্গকে।
ফ্রান্স ৩ : ০ আজারবাইজান
গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে আজারবাইজানকে আতিথ্য দেয় ফরাসিরা। যেখানে তাদের আক্রমণের তোড়ে সফরকারীরা দাঁড়াতেই পারেনি। অবশ্য এ নিয়ে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার পর প্রতিবারই তিক্ত স্বাদ পেয়েছে আজারবাইজান। এবারের দেখায় ফ্রান্স ৭৬ শতাংশের বেশি পজেশন রেখে মোট ৩৩টি শট নেয়। যার ৯টি ছিল গোলের লক্ষ্যে। বিপরীতে গোলের জন্য মাত্র একটি শট নিতে পারে আজাররা, যদিও তা লক্ষ্যে ছিল না।
অবশ্য র্যাঙ্কিংয়েই দুই দলের ব্যবধানটা ছিল স্পষ্ট। দুইয়ে থাকা ফরাসিদের প্রতিপক্ষ আজারবাইজানের অবস্থান ১২৪-এ। প্রতিপক্ষের ভুলে শুরুতেই বল পেয়ে শট নেন এমবাপে। তবে তার শট গোলবার ঘেঁষে যায়। এভাবে একের পর এক আক্রমণের ধারা ধরে রাখে ফ্রান্স। তবে খালি হাতে ফিরছিল প্রথমার্ধ থেকে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডেডলক ভেঙে দারুণ এক গোল করেন ফরাসি অধিনায়ক। একক নৈপুণ্যে অনেকটা দূর কাটিয়ে বক্সে ঢুকে মাটি কামড়ানো শটে তিনি গোল করেন। এ নিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচে গোল করলেন এমবাপে এবং জাতীয় দলে তার মোট গোল ৫৬। একটি বেশি নিয়ে সামনে আছেন কেবল অলিভিয়ের জিরু।
বিরতির পর আরও চাপ বাড়ায় ফ্রান্স। মিনিট পাঁচেক পরই খানিক দূর এগিয়ে হুগো একিতিকের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফেরে। শট নিয়ে আজারবাইজান রক্ষণ ও গোলরক্ষকের পরাস্ত হয়েছেন এমবাপে ও কিফহেন থুরাম। ৬৯ মিনিটে ফরাসিদের লিড দ্বিগুণ করেন আন্দ্রে র্যাবিওট। জটলার মধ্যে হেডে তিনি গোলটি করেন। অস্বস্তি নিয়ে ৮৩তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন এমবাপে। তার বদলি নেমে পরের মিনিটেই ফ্লোরিয়ান থাউভিন স্কোরশিটে নাম তোলেন। ক্রসে পাওয়া বলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লাফিয়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন তিনি। তাতেই ৩-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের। ৩ ম্যাচের সবকটিতে জিতে তারা বাছাইয়ের গ্রুপ ‘ডি’র পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
টিজে/এসএন